নয়াদিল্লি: বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে সাত ধাপ নেমে ১০২ নম্বরে ভারত। ২০১৮ সালে ভারতের অবস্থান ছিল ৯৫ নম্বরে। কিন্তু এবার ১১৭টি দেশের মধ্যে একেবারে নীচের দিকে ভারত। অনেক এগিয়ে প্রতিবেশী দেশ নেপাল (৭৩)। ভারতের অন্য প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে ৮৮ নম্বরে, পাকিস্তান ৯৪ নম্বরে। মায়ানমার রয়েছে ৬৯ নম্বরে। এমনকী, উত্তর কোরিয়াও (৯২) ভারতের চেয়ে এগিয়ে।

এই রিপোর্ট নিয়ে মোদি সরকারকে খোঁচা দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী। তাঁর ট্যুইট, ‘২০১৪ থেকে বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারতের অবনতি হয়েই চলেছে। এখন ভারত ১১৭টি দেশের মধ্যে ১০২ নম্বরে। এই ক্রমতালিকা সরকারি নীতির ব্যর্থতা প্রকট করে তুলেছে এবং প্রধানমন্ত্রীর ‘সবকা বিকাশ’ দাবিও যে স্রেফ ফাঁপা বুলি, সেটা দেখিয়ে দিচ্ছে।’



আয়ারল্যান্ড ও জার্মানির দু’টি সংস্থা যৌথভাবে এই রিপোর্ট তৈরি করেছে। এই রিপোর্ট বলছে, গত দু’দশকে ক্ষুধা মোকাবিলায় ভারত ব্যর্থ। ক্রমশঃ ভারতের অবনতি হয়েছে। ২০০০ সালে ১১৩টি দেশের মধ্যে ৮৩ নম্বরে ছিল ভারত। এখন ১১৭টি দেশের মধ্যে ভারতের অবস্থান ১০২। ২০০৮ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ভারতের ১৬.৫ শতাংশ শিশু অপুষ্টি, কম ওজন সহ বিভিন্ন সমস্যার শিকার হয়। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে এই সমস্যা বেড়ে হয়েছে ২০.৮ শতাংশ। ৬ থেকে ২৩ মাস বয়সের মাত্র ৯.৬ শতাংশ শিশু ন্যূনতম গ্রহণযোগ্য খাবার পায়। এই তালিকায় থাকা দেশগুলির মধ্যে ভারতেই শিশুদের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনও এক্ষেত্রে ভারতের চেয়ে এগিয়ে। শ্রীলঙ্কা (৬৬), চিন (২৫) তো অনেকটাই এগিয়ে।

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, পাঁচ বছরের কম বয়সের শিশুদের মৃত্যুর হার অবশ্য কিছুটা কমাতে পেরেছে ভারত। তবে স্বচ্ছ ভারত অভিযান নিয়ে দেশজোড়া প্রচার সত্ত্বেও প্রকাশ্যে শৌচকর্ম বন্ধ করা যায়নি। নাগরিকদের স্বাস্থ্যের উপর এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে।