এই ভারতীয় কোটিপতির নাম জানা যায়নি। বাবার রেখে দেওয়া ১২ জন কর্মীর দৌলতে তাঁর মেয়েই এখন ইংল্যান্ডের সব থেকে ‘অভিজাত’ পড়ুয়া। তা ছাড়া মেয়ে ৪ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে, তাকে যাতে অন্য ছাত্রছাত্রীদের মত হস্টেলে থাকতে না হয়, তাই বাবা বিশাল এক বিলাসবহুল প্রাসাদ কিনে ফেলেছেন। এই ১২ জন কর্মী সেখানে থেকেই মেয়ের দেখভাল করবেন।
এই সব কর্মী চেয়ে কয়েক মাস আগে খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দেন ওই কোটিপতি। তাতে সর্বক্ষণের সহচরী বা লেডিজ মেইডের যে চাহিদা রাখা হয়, তাতে ছিল, ওই ছাত্রীর ঘুম ভাঙাতে হবে, অন্য কর্মীদের সঙ্গে বসে তাঁদের কাজকর্মের রুটিন ঠিক করে দিতে হবে, দরকার মত সাহায্য করতে হবে, মেয়ের আলমারি গোছাতে হবে, নিজস্ব কেনাকাটায় সাহায্য করতে হবে। বাটলারের কাজ হল, দরকারমত ওই ছাত্রীর জন্য দরজা খোলা আর বন্ধ করা, ফুটম্যানরা খাবার দেবেন, টেবিল গোছাবেন, তা পরিষ্কার করবেন।
অত্যন্ত কেজোভাবে এ জন্য অভিজ্ঞ লোক চেয়েছে মারাত্মক ধনী ওই পরিবার। এবার নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে করছে, এই কাজের মাইনে কেমন। তা মন্দ নয়, বছরে প্রায় ৩০,০০০ পাউন্ড!