ওঁলাদের এই মন্তব্যের সঙ্গে এক্ষেত্রে ভারত সরকারের অবস্থানের অবস্থানের বিপরীত। এর পরিপ্রেক্ষিতে, প্রতিরক্ষামন্ত্রকের এক মুখপাত্র বলেছেন, দাসল্টের অংশীদার হিসেবে বিশেষ একটি সংস্থার জন্য ভারত সরকার তদবির করেছিল বলে ওলাঁদের মন্তব্য উল্লেখ করে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। ওই মুখপাত্র আরও বলেছেন, বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত সম্পর্কে কেন্দ্র বা ফরাসি সরকারের কোনও হাত ছিল না।
দাসল্ট রিলায়েন্স ডিফেন্সকে অংশীদার হিসেবে বেছে নিয়েছে। এক্ষেত্রে সরকারের কোনও ভূমিকা ছিল না বলে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।
এই অবস্থায় ওলাঁদের বক্তব্যে জাতীয় রাজনীতিতে বাকযুদ্ধ চরমে উঠবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী ওলাঁদে বলেছেন, ‘আমাদের এ বিষয়ে কোনও বক্তব্য ছিল না..ভারত সরকার ওই সংস্থার নাম প্রস্তাব করেছিল এবং দাসল্ট (অনিল) অম্বানি গ্রুপের সঙ্গে আলোচনা করেছিল। আমাদের কোনও পছন্দ ছিল না। আমাদের যাকে দেওয়া হয়েছে, তাকেই অংশীদার হিসেবে গ্রহণ করেছি’।
ফরাসি সংবাদমাধ্যমের ওই প্রতিবেদনকে হাতিয়ার করে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ জোরাল করেছে কংগ্রেস ও বিরোধী দলগুলি।
কংগ্রেস মুখপাত্র মণীষ তিওয়ারির ট্যুইট, ‘প্রেসিডেন্ট (প্রাক্তন) ওলাঁদের এটাও জানানো উচিত যে প্রতিটি রাফাল যুদ্ধবিমানের দাম ২০১২-র ৫৯০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০১৫-তে ১৬৯০ কোটি টাকা হল? দামবৃদ্ধির পরিমাণ প্রায় ১১০০ কোটি টাকা। আমি নিশ্চিত ইউরোর অঙ্কে হিসেব কষতে সমস্যা হবে না’।
উল্লেখ্য, ২০১৫-র ১০ এপ্রিল ওলাঁদের সঙ্গে প্যারিসে বৈঠকের পর ৩৬ টি রাফাল জেট ক্রয়ের কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বিরোধীরা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিডেট(হ্যাল)-কে বাদ দিয়ে অনিল অম্বানির সংস্থাকে সরকার বেছে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে। বিরোধীদের অভিযোগ, যুদ্ধবিমান তৈরির কোনও অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও আর্থিক ফায়দার ব্যবস্থা করে দিতে সরকারই রিলায়েন্স ডিফেন্সকে বেছে নিয়েছে।