নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকার আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের অস্ত্রোপচারের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও, এর তীব্র বিরোধিতা করল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। এক বিবৃতিতে আইএমএ-র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘সারা ভারতের মেডিক্যাল পড়ুয়া ও চিকিৎসকরা, যাঁরা আধুনিক চিকিৎসার চর্চা করছেন, তাঁরা সরকারের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে পারস্পরিক পরিচয় ও শ্রদ্ধা লঙ্ঘন করা হচ্ছে। সেন্ট্রাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ান মেডিসিন (সিসিআইএম) যেভাবে শিষ্টাচার লঙ্ঘন করে অন্যায়ভাবে জোর খাটিয়ে আধুনিক চিকিৎসার ভূমিকাকে খর্ব করে অযোগ্য চিকিৎসকদের বিশেষ ক্ষমতা দিতে চাইছে, আমরা সর্বতোভাবে তার নিন্দা করছি। সিসিআইএম কোনওভাবেই আধুনিক চিকিৎসার বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরা যে যে ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার করতে পারবেন বলে গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সেটা বলার কোনও অধিকারই নেই সিসিআইএম-এর। আইএমএ লক্ষ্মণরেখা টেনে দিচ্ছে। সিসিআইএম যদি তা লঙ্ঘন করে, তাহলে ফল ভাল হবে না।’


শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সিসিআইএম-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০১৬ সালের ইন্ডিয়ান মেডিসিন সেন্ট্রাল কাউন্সিল রেগুলেশনস সংশোধন করা হয়েছে। আয়ুর্বেদের স্নাতকোত্তর স্তরের পড়ুয়াদের শল্য (সাধারণ অস্ত্রোপচার) ও শলক্য (নাক, কান, গলা, চোখ, মাথা, দাঁতের রোগ) বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর ফলে তাঁরা স্কিন গ্র্যাফটিং, ক্যাটারাক্ট সার্জারি, রুট ক্যানাল ট্রিটমেন্ট করতে পারবেন।

আইএমএ-র পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে বলা হয়েছে, ‘এরকম সংক্ষিপ্ত উপায়েই যদি শল্য চিকিৎসক হওয়া যায়, তাহলে এনইইটি-র গুরুত্ব কোথায়? এই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে আইএমএ। বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসার পদ্ধতিকে এক করে দেওয়ার অপচেষ্টা রোখার জন্য সবরকমভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাবে আইএমএ।’