রোম: এক ধনী ব্যক্তি। সঙ্গে সম্ভবত তাঁর ক্রীত দাস। নিমেষেই মৃত্যু হয়েছিল তাঁদের। একজন আরেকজনের পাশে পড়ে রয়েছেন, পাথরের মতো। দু’হাজার বছর এভাবেই পাশাপাশি নিথর পড়ে রয়েছেন তাঁরা। ইতালির পম্পেই-এ একটি পার্কে খননকার্যে উদ্ধার হওয়া কঙ্কাল দেখে এমনই অনুমান গবেষকদের। ৭৯ খ্রিস্টাব্দে ওই দুজন মাউন্ট ভিসুভিয়াসের অগ্ন্যুৎপাতের শিকার হয়েছিলেন বলেও অনুমান।
খনন কার্যের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক জানিয়েছেন অগ্ন্যুৎপাতের কোপে পড়া দুই ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছে। ৬.৫ ফুট গভীর ছাইয়ের তলা থেকে কঙ্কাল দুটি উদ্ধার হয়েছে। ভূগর্ভস্থ করিডোর যা ক্রিপ্টোপোর্টিকাস নামে পরিচিত তার পাশের একটি কক্ষে ওই দুটি কঙ্কাল মিলেছে। পোশাকের যে টুকু অংশবিশেষ পাওয়া গিয়েছে এবং তাদের কঙ্কাল খুঁটিয়ে দেখে গবেষকদের অনুমান,একজন ছিলেন মধ্যবয়সি ধনী ব্যক্তি ,আরেকজন তাঁরই ক্রীতদাস। দাঁত, মস্তিস্কের ক্র্যানিকাল হাড় পরীক্ষা করে দুজনের বয়সের একটি আন্দাজ দিয়েছেন গবেষকরা। অল্প বয়সের লোকটি আনুমানিক ১৮-২৫ বছরের মধ্যে। আরেকজনের বয়স ছিল ৩০-৪০ বছরের মধ্যে।
প্রত্নতত্ত্ববিদ মাসিমা ওসান্নার কথায় ’’মনে হচ্ছে অগ্ন্যুৎপাতের সময় নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে তাঁরা ভুগর্ভে ওই ক্রিপ্টোপোর্টিকাসের মধ্যে আশ্রয় খুঁজছিলেন।‘‘
দুজনের মধ্যে একজনের মেরুদণ্ডের গঠন দেখে তাদের অনুমান ওই ব্যক্তির কায়িক পরিশ্রমে অভ্যস্ত ছিলেন। আরেক ব্যক্তির শারীরিক গঠন ভিন্ন। তিনি বুকে হাত রেখে মারা গিয়েছিলেন বলেও জানাচ্ছেন গবেষকরা। ৭৯ খ্রিস্টাব্দে মাউন্ট ভিসুভিয়াস জেগে ওঠায় পম্পেই কার্যত ছাইয়ের আস্তরণে ঢাকা পড়েছিল। আজও পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় মাউন্ট ভিসুভিয়াস দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।