নয়াদিল্লি: ভারতীয় রেলের (Indian Railways) ইতিহাসে একাধিকবার দু’টি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ (Collision) হয়েছে। এই দুর্ঘটনা রোখার জন্য বিশেষ প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে রেল বিভাগ। এই বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে দুর্ঘটনা রুখে দেওয়া যায় কি না, সেটাই পরীক্ষা করে দেখা হল। এই পরীক্ষা ১০০ শতাংশ সফল। দু’টি লোকো একই লাইনে পরস্পরের দিকে ছুটে আসছিল, কিন্তু ‘কবচ’-এর (Kavach Technique Testing) মাধ্যমে ধাক্কা লাগার আগেই একটি অপরটির চেয়ে ৩৮০ মিটার দূরত্বে থেমে গেল। ফলে দুর্ঘটনা ঘটল না।
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaishnaw) নিজে একটি ট্রেনে ছিলেন। এই পরীক্ষা সফল হওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘লেভেল ক্রসিংয়ের কাছাকাছি ট্রেন আসতেই হুইসেল বাজছে। ট্রেনের চালককে কিছু করতে হচ্ছে না। অটো হুইসেল টেস্ট সফল। মুখোমুখি সংঘর্ষ রোখার পরীক্ষাও সফল।’
রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে জানানো হয়েছে, ‘দু’টি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ রোখার পরীক্ষা সফল। কবচের সাহায্যে সামনে থেকে আসা লোকোটির ৩৮০ মিটার দূরে থেকে গিয়েছে লোকো। রেলমন্ত্রী লোকোমোটিভে থেকে এই পরীক্ষা পর্যবেক্ষণ করেছেন।’
রেলমন্ত্রীর পাশাপাশি রেলবোর্ডের চেয়ারম্যানও এই পরীক্ষার সময় উপস্থিত ছিলেন। রেলমন্ত্রী যে লোকোমোটিভে ছিলেন, তার উল্টোদিক থেকে ছুটে আসা ট্রেনটিতে ছিলেন রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান। সেকেন্দরাবাদে এই পরীক্ষা হয়। ‘কবচ টেকনিক টেস্টিং’ সফল হওয়ায় রেলের কর্তারা খুশি। তাঁদের আশা, এবার এই প্রযুক্তির সাহায্যে দুর্ঘটনা রুখে দেওয়া যাবে।
গত ১৩ জানুয়ারি জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির দোমহনিতে দুর্ঘটনায় পড়ে আপ বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। লাইনচ্যুত হয় আটটি কামরা। ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনায় প্রাণ যায় ৯ যাত্রীর। এই দুর্ঘটনার পর ময়নাগুড়ি ছুটে যান রেলমন্ত্রী। উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়। কবচের মাধ্যমে এই ধরনের দুর্ঘটনাও রুখে দেওয়া যায় কি না, সে বিষয়েও ভাবনাচিন্তা শুরু করেছেন রেলের কর্তারা।