উত্তরাখণ্ডের এক পুলিশকর্তার টুইটে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক মাস ধরেই অসুস্থ ছিলেন এই ডিজিপি। চিকিৎসাও চলছিল।
ডিজিপি কাঞ্চন চৌধুরী ভট্টাচার্য ছিলেন ১৯৭৩ সালের ব্যাচের আইপিএস। তাঁর আগে কোনও মহিলা ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ হননি। আইপিএস অ্যাসোসিয়েশন একটি টুইটে আইপিস কাঞ্চন ভট্টাচার্যর অসামান্য বুদ্ধির জোরের প্রশংসা করেছে। সেইসঙ্গে তাঁর চমকপ্রদ কেরিয়ারের কথাও বলা হয়েছে ওই ট্যুইটে। আইপিএস অ্যাসোসিয়েশনের শোকবার্তায় বলা হয়েছে, কাঞ্চন চৌধুরী ভট্টাচার্য শুধু প্রথম মহিলা ডিজিপিই নন, দেশের দ্বিতীয় মহিলা আইপিএস। কিরণ বেদীর পরেই আসে তাঁর নাম। ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত উত্তরাখণ্ড পুলিশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি।
৩৩ বছরের সুদীর্ঘ কর্মজীবনে বেশকিছু সাড়া জাগানো কেস সামলেছেন এই দুঁদে আইপিএস। তাঁর মধ্যে ব্যাডমিন্টন তারকা সইদ মোদির হত্যা মামলা ও রিলায়েন্স-বম্বে ডাইং কেস অন্যতম।
১৯৯৭ সালে তিনি রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে পুলিশ মেডেল পান। পেয়েছিলেন রাজীব গাঁধী পুরষ্কারও।
তাঁর জীবনকাহিনি নিয়েই তৈরি হয়েছিল টেলিভিশন সিরিজ উড়ান। সেখানে অতিথি হিসেবে তাঁকেও দেখানো হয়েছিল।
অবসরগ্রহণের পর তিনি আম আদমি পার্টিতে যোগ দেন। ২০১৪ সালে নির্বাচনেও লড়েন। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন অরবিন্দ কেজবীবালও।
বুধবার ওরলি শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য।