মুম্বই: মহারাষ্ট্রের পালঘরে দুই সাধুকে পিটিয়ে মারার ঘটনার নিন্দা করলেও, এর সাম্প্রদায়িক রং দেওয়ার বিরোধী শিবসেনা। এটি মহারাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা বলেও দাবি করেছে বিজেপি-র প্রাক্তন জোটসঙ্গী।


আজ শিবসেনার মুখপত্র ‘সামনা’-র সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, ‘পালঘরের গড়চিনক্লে গ্রামে গুজব রটেছিল, লকডাউনের সুযোগ নিয়ে সাধুর ছদ্মবেশে চোরেরা এসেছে। মৃত ব্যক্তিরা গুজরাতে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন তাঁদের ফেরত পাঠায়। তাঁরা যদি সেখানেই থাকতেন এবং রাজ্য সরকারকে খবর দেওয়া হত, তাহলে হয়তো বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া যেত। এই ঘটনার সাম্প্রদায়িক রং দেওয়া অমানবিক।’

মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের পাশে দাঁড়িয়ে শিবসেনার দাবি, ‘পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে এবং জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তিরা ও তাঁদের হত্যায় অভিযুক্ত একই সম্প্রদায়ের। এই ঘটনার সঙ্গে কোনওরকম সাম্প্রদায়িক হিংসার যোগ নেই। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করা হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও মহারাষ্ট্রে শান্তি বজায় আছে।’

বিরোধী নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীশের সমালোচনা করে শিবসেনা বলেছে, ‘কেউ কেউ উদ্বেগ প্রকাশ করছেন, হিন্দু হৃদয়সম্রাট বালাসাহেব ঠাকরের রাজ্যে কী করে হিন্দু সাধুদের হত্যা করা হল! কিন্তু এই উদ্বেগের কারণ অন্য। ফড়নবীশের শাসনকালে যখন ধুলে, চন্দ্রপুরে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল, তখন মহারাষ্ট্র বালাসাহেব ঠাকরের ভূমি ছিল না? মৃত ব্যক্তি হিন্দু না মুসলিম সেটা কথা না। গণপিটুনি কোনও সময়েই সমর্থন করা যায় না। এটা সত্যি যে এই ঘটনায় মহারাষ্ট্রের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে আঘাত লেগেছেথ এই ঘটনা কি মহারাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য ঘটানো হয়েছে?’