নয়াদিল্লি: প্রতি বছর দু’বার আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান দিবস পালন করা হয়। একবার শরৎকালে আর একবার বসন্তে। আজ এ বছরের প্রথম আন্তর্জাতিক জ্যোতির্বিজ্ঞান দিবস পালন করা হচ্ছে। এ বছরের পরের অনুষ্ঠানটি হবে ২৬ সেপ্টেম্বর। এই দিনটিতে বিভিন্ন সংগ্রহশালা, তারামণ্ডল এবং অন্যান্য সংস্থা আলোচনাসভা, কর্মশালা সহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। জ্যোতির্বিজ্ঞানের বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই অনুষ্ঠানগুলি আয়োজন করা হয়। এ বছর অবশ্য করোনা ভাইরাসের জেরে বিশ্বজুড়ে লকডাউন জারি থাকায় অন্যান্যবারের মতো অনুষ্ঠান আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না।


১৯৭৩ সালে অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন অফ নর্দার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার প্রেসিডেন্ট ডগ বার্গার প্রথম জ্যোতির্বিজ্ঞান দিবস পালন করার সিদ্ধান্ত নেন। মহাবিশ্ব সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করাই তাঁর লক্ষ্য ছিল। এরপর থেকেই প্রতি বছর এই দিনটি পালন করা হয়ে আসছে।

এবার দেখে নেওয়া যাক, মহাবিশ্ব সম্পর্কে মহাকাশচারীদের বিখ্যাত কিছু উক্তি-

চাঁদ সম্পর্কে নিল আর্মস্ট্রং বলেছিলেন, ‘সূর্যের আলোয় চাঁদের ভূ-পৃষ্ট অসাধারণ সুন্দর দেখতে লাগে। দিগন্ত অনেক কাছে অনেক মনে হয়। কারণ, পৃথিবীর তুলনায় চাঁদে বক্রতা অনেক বেশি। চাঁদ একটি আকর্ষণীয় স্থান।’

কল্পনা চাওলা বলেছিলেন, ‘জীবনে কিছু করতেই হবে। কারণ, আপনি সত্যিই কিছু করতে চান। আপনি যদি লক্ষ্য ছাড়া কোনও কাজ করেন এবং চলার পথ উপভোগ না করেন, তাহলে নিজের সঙ্গে প্রতারণা করছেন।’

সুনীতা উইলিয়ামস বলেছিলেন, ‘বড় সমস্যার দিকে তাকানো যায় না, কারণ, আমার মনে হয়, তাতে আতঙ্ক হয়। তাই সময় নিন, যাঁদের সঙ্গে দেখা করতে চান দেখা করে নিন, কারণ, আপনি নিজের জন্যই শুধু কাজ করছেন না, অন্যদের জন্যও কাজ করছেন। মহাকাশ ভ্রমণের আসল বিষয় হল দলগত ঐক্য।’

রাকেশ শর্মা বলেছিলেন, ‘মহাকাশে যাওয়ার অভিজ্ঞতা অসাধারণ। এই অভিজ্ঞতা ভোলা যাবে না।’