নয়াদিল্লি: আজ আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস। ২০০৮ থেকে প্রতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বর দিনটি গণতন্ত্র দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। ২০০৭-এ রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাশ হয়। রাষ্ট্রপুঞ্জের পক্ষ থেকে বলা হয়,  ‘আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসে সারা বিশ্বে গণতন্ত্রের অবস্থা খতিয়ে দেখার সুযোগ পাওয়া যায়। গণতন্ত্র যেমন একটি লক্ষ্য, তেমনই একটি প্রক্রিয়া। একমাত্র আন্তর্জাতিক মহলের পূর্ণ সহযোগিতার মাধ্যমেই আদর্শ গণতন্ত্রকে বাস্তবায়িত করা সম্ভব।’


১৯৯৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদগুলির আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নে ‘ইউনিভার্সাল ডিক্লারেশন অন ডেমোক্রেসি’বিষয়ক ঘোষণাপত্র গ্রহণ করা হয়। আন্তর্জাতিক মহলের মতে, এই দিন থেকেই আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস পালনের উদ্যোগ শুরু হয়। এরপর কাতারের নেতৃত্বে উদ্যোগে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস পালন শুরু হয়।


২০০৭-এর ৮ নভেম্বর রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদে গণতন্ত্র বিষয়ক প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হয়। প্রস্তাবে বলা হয়,‘রাষ্ট্রপুঞ্জের সাহায্যে নতুন করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও প্রচার করা বা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য সরকারগুলি যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, তাকে সমর্থন করতে হবে।’


ইন্টার-পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বলা হয়, রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদে এক দশক আগেই যেহেতু ১৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস সংক্রান্ত ঘোষণা করা হয়, তাই এই দিনটিকেই পালন করা উচিত। সেই প্রস্তাব মেনে নেয় রাষ্ট্রপুঞ্জ। ২০০৮-এর ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস পালন শুরু হয়।


প্রতি বছর কোনও একটি বিষয় বা ঘটনাকে উপলক্ষ করে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস পালন করা হচ্ছে। গত বছরের থিম ছিল করোনা পরিস্থিতিতে গণতন্ত্র। ২০১৯-এর থিম ছিল ‘অংশগ্রহণ’। ২০১৩ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত থিম ছিল যথাক্রমে ‘গণতন্ত্রের জন্য কণ্ঠকে শক্তিশালী করা’, ‘গণতন্ত্রে যুবসমাজকে যুক্ত করা’, ‘নাগরিক সমাজ’ও ‘গণতন্ত্র ও ২০৩০-এ সুস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা’। ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসের থিম ছিল ‘গণতন্ত্রের সমস্যা: পরিবর্তনশীল বিশ্বের জন্য সমাধান।’


এ বছর যখন আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস পালন করা হচ্ছে, তখন আফগানিস্তান তালিবানের দখলে। আফগানিস্তানে গণতন্ত্র নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে মহিলাদের অধিকার এবং সামগ্রিকভাবে মানবাধিকার  নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।