নয়াদিল্লি: একেই বলে কামব্যাক। চলতি মরশুমের আইপিএলে শেষ চারের জায়গা পাকা করে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস। সেটাও ৭ বছর পর। বেঙ্গালুরুকে ১৬ রানে হারিয়ে শ্রেয়স, শিখর, ঋষভ, পৃথ্বীরাই এখন আইপিএলের পয়েন্ট তালিকার এক নম্বরে।


চলতি মরশুমের আইপিএল শুরুর সময় কে জানত, এবার খরা কাটিয়ে প্লে-অফের রাস্তা পাকা করবে দিল্লি! যে দলটা গতবারও সবার শেষে টুর্নামেন্ট শেষ করেছিল সেই দলই এবার সবার শীর্ষে। গতবার ১৪টি-র মধ্যে স্রেফ ৫টি ম্যাচেই জয় পেয়েছিল শ্রেয়সেরা। এবার ২ ম্যাচ বাকি থাকতেই ১৬ পয়েন্ট নিয়ে একাবারে মাথায় তাঁরাই। চেন্নাইয়ের সঙ্গে দ্বিতীয় দল হিসেবে এবার প্লে-অফের জায়গা নিশ্চিত করেছে দিল্লি ক্যাপিটালস। তবে রান রেটে ধোনিদের থেকেও এগিয়ে তাঁরা।


অন্যদিকে ফিরোজ শাহ কোটলায় হেরে আইপিএল জয়ের স্বপ্নকে কফিনবন্দি করে ফেললেন কোহলিরা। এদিন প্রথম টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দিল্লির দলপতি শ্রেয়স আইয়ার। পৃথ্বী অল্প রানে ফিরলেও বাঁ হাতি আর ডান হাতি যুগলবন্দিতে দিল্লির রানের চাকা এগিয়ে নিয়ে যান শিখর ও শ্রেয়স। দুজনেই অর্ধ শতরানের ইনিংস খেলেন। শিখরের ব্যাট থেকে আসে ৫০ রানের ইনিংস। অধিনায়ক শ্রেয়স করেন ৫২।  ঋষভ পন্থ, কলিন ইমিগ্রানরা সেভাবে নজর না কারলেও রাদারফোর্ডের (২৮) ঝোড়ো ইনিংসের দাপটে ১৮৭ রান তোলে সৌরভ-পন্টিংদের দল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৭১ রানেই থেমে যায় রয়্যাল চেলেঞ্জার্স। ১৬ রানে হারতে হয় বিরাটদের। দিল্লির হয়ে ২টি করে উইকেট পান রাবাদা ও অমিত মিশ্র। একটি করে উইকেট এসেছে ঈশান্ত শর্মা, অক্ষর পটেল ও রাদারফোর্ডের ঝুলিতেও।


প্রসঙ্গত, এবছরই দিল্লি দলের সঙ্গে দাদাকে জুড়ে দিয়েছিল জিন্দালরা। কোচ হিসেবে একদিকে রিকি পন্টিং এবং উপদেষ্টা হিসেবে সৌরভ গাঙ্গুলি, এই জুটিই শেষ পর্যন্ত ফুল ফুটিয়ে দিল। ২০১২ সালের পর বিগত ৭ বছরে এই প্রথম আইপিএলের শেষ চারে জায়গা করে নিল দিল্লি। সৌরভ গাঙ্গুলি দায়িত্ব পেয়েই জানিয়েছিলেন, দলকে প্লে-অফে নিয়ে যাওয়াই তাঁদের প্রথম লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে তাঁরা। এখনও হাতে আছে ২টি ম্যাচ। বুধবার চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ও শনিবার রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে দিল্লি। শেষ দুটি ম্যাচে অপরাজিত থাকতে পারলে সরাসরি কোয়ালিফায়ারও খেলবে তাঁরাই।