মুম্বই ইন্ডিয়ানস- ১৪৯/৮
চেন্নাই সুপার কিংস- ১৪৮/৭
এবার আর বঙ্গোপসাগর লাগোয় উপকূলবর্তী শহর চেন্নাইয়ে যাচ্ছে না আইপিএল ট্রফি। হাওয়া বদল করে যাত্রা করল আরব সাগরীয় পথে। গোটা প্রতিযোগিতায় চেন্নাইকে হারিয়ে ফাইনালেও জিতল মুম্বই। চারে চার। লিগ ম্যাচ, কোয়ালিফায়ার এবং অবশেষে ফাইনালেও শেষ হাসি হাসলেন রোহিতরাই।
২ বছর পর পর আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয় মু্ম্বই, অটুট থাকল এই মিথও। ২০১৩, ২০১৫, ২০১৭, ২ বছর অন্তর অন্তর আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ব্লু আর্মি। ২০১৯-এও চ্যাম্পিয়ন হল মুম্বই। আর এই চার বারের মধ্যে ৩ বারই চেন্নাইকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হল রোহিত শর্মার দল।
উল্লেখ্য, এদিন টসে জিতে প্রথম ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা। প্রথম ব্যাটে নেমেই কুইন্টন ডি কক যেভাবে ব্যাট চালাচ্ছিলেন, তাতে একটা ভাল শুরুয়াতও পেয়েছিল মুম্বই। তবে বাঁ হাতি এই ব্যাটসম্যান আউট হতেই চাপে পরে যায় রোহিতরা। এরপর দীপক চাহরের স্লোয়ারে উইকেট দিয়ে আসেন অধিনায়ক রোহিত নিজেও। তারপর আর সেরকমভাবে বড় যুগলবন্দি আসেনি। সূর্যকুমার যাদব, ঈশান কিষাণরা বড় স্কোর খাড়া করতে পারেননি। ফিনিশারের ভূমিকায় হার্দিকও রবিবার বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারেনি। তবে রান পেয়েছেন ক্যারিবিয়ান তারকা। পোলার্ডের ২৫ বলে ৪১ রানের ইনিংসের সুবাদেই চেন্নাইয়ের সামনে ১৫০ রানের লক্ষ্যমাত্রা রাখে রোহিতের দল। ৩টি উইকেট পান চাহর। ২টি করে উইকেট যায় শার্দুল ও ইমরান তাহিরের ঝুলিতে।
দ্বিতীয় ইনিংসে চেন্নাইয়ের দরকার ছিল প্রতি ওভারে মাত্র সাড়ে সাত রান। আর এই রান রেট তাড়া করতে নেমে চেন্নাইও ধামাকাদার শুরু করে। ১৩ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলেন প্রোটিয় তারকা ডু প্লেসিস। এরপর রায়না, রায়াডু, ধোনি অল্প রানে ফিরলেও একধার থেকে হাল ধরে রাখেন শেন ওয়াটসন। পরে সঙ্গী হন ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার ব্র্যাভো। বুমরাহর বলে রাহুল চাহর ওয়াটসনের ক্যাচ না ফেললে খেলার ফল হয়ত আরও তাড়াতাড়িই মুম্বইয়ের পক্ষে চলে যেত। তবে খেলা গড়িয়ে নিয়ে যান শেন ওয়াটসন। ৫৯ বলে ৮০ রানের ইনিংস খেলেন শেন ওয়াটসন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ওয়াটসন ফিরতেই কোণঠাসা হয়ে যায় ধোনি ব্রিগেড। শেষ পর্যন্ত মালিঙ্গার ডেডলি ইয়র্কারই ম্যাচ জিতিয়ে দেয় মুম্বইকে। ১টি করে উইকেট পান ক্রুণাল, মালিঙ্গা ও চাহর। ২টি উইকেট যায় বুমরাহর ঝুলিতে।