জেরুজালেম: ইজরায়েলেরে পার্লামেন্টে অনুমোদন পেল নতুন একটি জোট সরকার। ফলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে দীর্ঘ ১২ বছর পর বিরোধী আসনে বসতে হচ্ছে। এছাড়াও রাজনৈতিক সংকটের কারণে ইজরায়েলে চারবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।  পার্লামেন্টে সামান্য ব্যবধানে ৬০-৫৯ ভোটে জিতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন একটি ছোট উগ্র জাতীয়তাবাদী পার্টির নেতা নাফতালি বেনেট।  তবে ক্ষমতা ধরে রাখাটা তাঁর পক্ষে খুবই কঠিন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, তাঁকে রাজনৈতিকভাবে দক্ষিণপন্থী, বামপন্থী ও মধ্যপন্থী পার্টিগুলির একটি জগাখিচুড়ি জোট সামলে চলতে হবে। 
আট দলের জোটের নেতৃত্ব দিতে হবে বেনেটকে। এই আট দলের মধ্যে রয়েছে ছোট্ট একটি আরব গোষ্ঠীও।এই প্রথম সরকার গঠনে যুক্ত হয়েছে তারা। নেতানিয়াহু ও নতুন করে নির্বাচনের বিরুদ্ধে দলগুলি ঐক্যবদ্ধ। কিন্তু অন্যান্য বিষয়ে তাদের অমিলই বেশি। এই অবস্থায় নতুন জোট সরকার কিছুটা নমনীয় নীতি অনুসরণ করে চলবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাদের কর্মসূচীর মধ্যে প্যালেস্তাইনের সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমন ও  বড়সড় কোনও পদক্ষেপ ছাড়াই আমেরিকার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়টি থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। 
এদিন সংসদে ভোটের সময় নীরবেই বসে থাকতে দেখা যায় নেতানিয়াহুকে। ভোট শেষ হওয়ার পর তিনি উঠে নিজের চেম্বারে চলে যান। তার আগে নতুন প্রধানমন্ত্রী- বেনেটের সঙ্গে করমর্দন করেন তিনি।  বেরিয়ে যাওয়ার আগে কিছুক্ষণের জন্য হতাশ নেতানিয়াহুকে কালো রঙের মেডিক্যাল মাস্ক পরে প্রধান বিরোধী নেতার চেয়ারে বসতে দেখা যায়।


উল্লেখ্য, এক সময় বেনেট ছিলেন নেতানিয়াহুর ভাবশিষ্য। সেই বেনেটই নেতানিয়াহুকে সরিয়ে প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন হলেন।সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে বেনেট দুই বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এরপর জোটের রূপকার ইয়ের লেপিড প্রধানমন্ত্রী হবেন।


নেতানিয়াহু পার্লামেন্টের বৃহত্তম দলের নেতা হিসেবে কাজ করবেন। পার্লামেন্টে জোট সরকারের তীব্র বিরোধিতাই এবার নেতানিয়াহুর লক্ষ্য হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কোনও একটি দল বেঁকে বসলেই নতুন জোট সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে।ফলে নেতানিয়াহুর ক্ষমতায় ফেরার রাস্তা খুলে যেতে পারে।