নয়াদিল্লি: তিনি খুব একটা সকালে ঘুম থেকে ওঠেন না। সোমবার সাতসকালে অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন তাঁর নোবেল জয়ের খবর পান, তখনও তিনি ঘুমোচ্ছিলেন। ফোনে খবরটা পেয়ে খুশি হলেও, ফের ঘুমিয়ে পড়েছিলেন।

সোমবার ভারতীয় সময় রাত নটা নাগাদ স্ত্রী এবং তাঁর গবেষণা ও সাফল্যের সঙ্গী আরেক নোবেলজয়ী এস্থার ডাফলোকে পাশে নিয়ে বাঙালি অভিজিৎ বললেন, ‘এটা এমন একটা অভিজ্ঞতা, যেটা রোজ হয় না। দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য আমাদের আন্দোলনটাই পুরস্কৃত হল। এই বিষয়ে যাঁরা কাজ করছেন, সকলেই আরও কিছুটা উৎসাহ পাবেন। সেটাই হয়তো আমাদের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হয়ে থেকে যাবে। এটা তাঁদের সকলের স্বীকৃতি।’

অভিজিৎ যোগ করেছেন, ‘যাঁদের সঙ্গে কাজ করেছি, যাঁদের জীবন নিয়ে গবেষণা করেছি, সেবামন্দির, প্রথম-এর মতো যে সমস্ত সংস্থা আমাদের দিকে সাহায্যের হাতে বাড়িয়ে দিয়েছে, সকলের কাছে কৃতজ্ঞ।’ স্ত্রী এস্থার ডাফলো-র নোবেল পাওয়া নিয়েও উচ্ছ্বসিত কলকাতার সাউথ পয়েন্ট স্কুল ও প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রাক্তনীর। বলেছেন, ‘স্ত্রী-র কৃতিত্বও দারুণ। ভীষণ খুশি। পার্টনার পুরস্কৃত হওয়ায় খুশি অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। বোঝাপড়া ভাল হওয়ার ছাপ পড়েছে গবেষণায়।’

এস্থারও খুশি। নোবেল জয়ের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেছেন, ‘আমাদের গোটা বিশ্বকে বোঝাতে হবে যে অর্থনীতি দিয়ে আমাদের উদ্বেগ আর দুশ্চিন্তার বিষয়গুলোর মোকাবিলা করা সম্ভব।’