নয়াদিল্লি: গতকাল সন্ধেতে ক্যাম্পাসেই আক্রান্ত হয়েছিলেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশী ঘোষ।মুখোশ পরা গুণ্ডা বাহিনীর হামলায় মাথা ফেটে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল তাঁকে। এদিন মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন তিনি। বললেন, জেএনইউ-র গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে দমনের চেষ্টা কোনওভাবেই সফল হবে না। তিনি বলেছেন, পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা প্রত্যেকটি লোহার রডের জবাব বিতর্ক ও আলোচনার মাধ্যমে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। জেএনইউ-র সংস্কৃতি মুছে যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি অটুট থাকবে।
ঐশী এদিন চড়া সুরে ক্যাম্পাসে গুণ্ডাবাহিনীর আক্রমণের ঘটনা নিয়ে কয়েকজন আরএসএস-পন্থী শিক্ষকের দিকে আঙুল তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, তাঁদের আন্দোলন ভাঙতে আরএসএস-পন্থী কয়েকজন শিক্ষক রবিবার সন্ধের হিংসায় মদত দিয়েছেন।


জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশী দাবি করেন, তাঁকে চিহ্নিত করে লোহার রড দিয়ে আঘাত করা হয়। তাঁর মাথায় গভীর ক্ষত। ঐশী বলেছেন, এটা পরিকল্পিত হামলা। দুষ্কৃতীরা সবাইকে চিনিয়ে দিয়ে আক্রমণ শানাচ্ছিল।
ঐশীর অভিযোগ, গতকালের হামলার ক্ষেত্রে জেএনইউ-র পুলিশ ও দুষ্কৃতীদের স্পষ্ট আঁতাত রয়েছে। তিনি এই ঘটনায় আরএসএস কর্মী ও এবিভিপি-র সঙ্গে যুক্ত পড়ুয়াদের গতকালের হামলার ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন।
ঐশীর দাবি, গত চার-পাঁচদিন ধরেই ক্যাম্পাসে কয়েকজন আরএসএস-পন্থী শিক্ষক ও এবিভিপি হিংসায় মদত দিচ্ছিল।
গত ৫০ বছরের ইতিহাসে জেএনইউ ক্যাম্পাসে এমন নজির নেই বলেও দাবি করেছেন ঐশী। তিনি বলেন, ক্যম্পাসে এবিভিপি সমর্থকরা ছাড়াও, বেশ কয়েকজন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিও উপস্থিত ছিল। রবিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ আমরা পুলিশকে জানিয়েছিলাম যে, আমরা নিরাপদ বোধ করছি না।
জেএনইউ-র ছাত্র সংসদ আগেই বিবৃতিতে বলেছে, ক্যাম্পাসে হামলা চালানোর জন্য অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। এ দিন সেই কথাই ফের তুলে ধরেছেন এসএফআই নেত্রী ঐশি।

ঐশী অভিযোগ করেছেন, গুণ্ডা বাহিনীর তাণ্ডব রুখতে পুলিশ কোনও হস্তক্ষেপই করেনি।
একই সঙ্গে জেএনইউ-র উপাচার্য জগদেশ কুমারের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন ঐশী। তিনি উপাচার্যের ইস্তফাও দাবি করেছেন।
ঐশী বলেন, পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল। ওঁরা বলেছিলেন, সব ঠিক আছে। আমরা ওদের সরিয়ে দিয়েছি। কিন্তু তার পরেই এই ঘটনা ঘটে।
ঐশী বলেছেন, আরএসএস আমাদের বাড়ি থেকে বের করতে পারবে না।