নয়াদিল্লি: জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ) রবিবারের নজিরবিহীন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে ‘রাজনৈতিক আড্ডার কেন্দ্র’ হয়ে উঠতে দেওয়া হবে না বলে জানালেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল। সোমবার সরকারি কর্মসূচি পালন অনুষ্ঠানে তিনি পড়াশোনা, জ্ঞানচর্চাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য বলে সওয়াল করে জানান, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য, লক্ষ পূরণে তাদের ব্যবহার করা উচিত নয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছি, এই স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলিকে রাজনীতির আখড়া করে তোলার লক্ষ্যে ব্যবহার করতে দেওয়া যায় না।
গতকালের হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন পোখরিয়াল।
এদিকে রবিবার রাতে জেএনইউ হস্টেলে পড়ুয়া ও ফ্যাকাল্টি সদস্যদের ওপর মুখোশঢাকা সশস্ত্র গুন্ডাদের হামলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্য এম জগদীশ কুমারের অপসারণ দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন জেএনইউটিএ।
কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রক আজ জেএনইউয়ের রেজিস্ট্রার, প্রোক্টর, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য কর্তাব্যক্তিদের নিয়ে বৈঠক করেছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, জেএনইউয়ের গতকালের হিংসার ব্যাপারে একটি এফআইআর দায়ের হওয়ার পর দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখা তদন্ত করবে বলে খবর। গতকালের হামলায় জখম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩৪ পড়ুয়াকেই আজ এইমস-এর ট্রমা সেন্টার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
গতকালের ঘটনার পর কেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিবাল একবারও জেএনইউতে যাননি, সেই প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন মহল। এ নিয়ে সমালোচনার জবাবে কেজরিবালের আমআদমি পার্টির (আপ) নেতা সঞ্জয় সিংহ বলেছেন, দলনেতা ওখানে গেলে বিজেপি গন্ডগোল করে তাঁর ঘাড়ে দায় চাপাত।