শ্রীনগরলাদাখে ভারত-চিন সংঘাতের মধ্যেই সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে কাশ্মীর উপত্যকার জন্য দু মাসের রান্নার গ্যাস মজুত করতে তেল বিপনন কোম্পানিগুলিকে পাঠানো সরকারি নির্দেশকে কেন্দ্র করে তীব্র জল্পনা, কৌতূহল ছড়িয়ে পড়েছে। তবে  কি বড়সড় কিছু ঘটতে চলেছে, কোনও অপ্রত্যাশিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার, যা অচিরেই কার্যকর করা হতে পারে কাশ্মীরেকেননা ২০১৯-এর ফেব্রুয়ারি বালাকোট অভিযান, তারপর ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারার বিলোপের মতো ঘটনার আগেও এ ধরনের পদক্ষেপ করা হয়েছিল। যদিও সরকারি সূত্রে এটা রুটিন ব্যাপার বলে জানিয়ে যাবতীয় জল্পনা, অনুমান খারিজ করা হয়েছে।


ডিরেক্টরেট অব ফুড, সিভিল সাপ্লাইস অ্যান্ড কনজিউমারের জারি করা আদেশানুসারে তেল কোম্পানিগুলিকে নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে বটলিং প্ল্যান্ট ও এলপিজি ডিস্ট্রিবিউটরদের গোডাউনে দুমাস চলার মতো পর্যাপ্ত রান্নার গ্যাসের সরবরাহ যাতে অক্ষুন্ন থাকে। এই আদেশকে মোস্ট আর্জেন্ট বা সবচেয়ে জরুরিও বলা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, লাগাতার ধসের ফলে জাতীয় সড়ক বন্ধ থাকলে সরবরাহ ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কা মাথায় রেখেই পর্যাপ্ত  এলপিজি মজুত রাখা নিশ্চিত করতে গত ২৩ জুনের এক বৈঠকে লেফটেন্য়ান্ট গভর্নর জি সি মুর্মুর উপদেষ্টা  এহেন আদেশ জারি করেন। শ্রীনগর-জম্মু হাইওয়ে বন্ধ থাকার আশঙ্কায় সাধারণত- শীতের মরসুমে এধরনের আদেশ জারি করা হয়। তবে ফুড, সিভিল সাপ্লাইস অ্যান্ড কনজিউমার দপ্তরের ডিরেক্টর বসির আহমেদ খান আদেশটিকে দুটি দপ্তরের বার্তা বিনিময় বলে জানিয়ে বলেন, সাধারণতঃ এক মাসের মজুত থাকে। এবার শ্রীনগর-জম্মু হাইওয়ের পরিস্থিতি যেমন থাকার কথা, তেমন নয়। তার ওপর হাইওয়ের রাস্তা চওড়া করার কাজও চলছে। এসব মাথায় রেখেই দুমাসের মজুত রাখার কথা ভাবা হয়েছে। জাতীয় সড়কের পরিস্থিতিই এমন আদেশের একমাত্র কারণ।

আবার এক পৃথক আদেশে গান্দেরবলের পুলিশ সুপার জেলার আইটিআই ভবন, মাঝারি ও উচ্চশিক্ষার স্কুলভবন সহ ১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে খালি করতে বলেছেন। এর ফলেও জোর জল্পনার সূত্রপাত হয়েছে। যদিও আদেশে বলা হয়েছে, ২০২০র অমরনাথ যাত্রার পরিপ্রেক্ষিতে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর জওয়ানদের থাকার বন্দোবস্ত করা হবে।

তবে জনৈক শীর্ষ পুলিশকর্তা বলেছেন, সোস্যাল মিডিয়ায় এইসব বার্তা ছড়ানোয় লোকে কী ভাবছে, বুঝতে পারছি। কিন্তু তারা একটু বেশিই জল্পনা করছে, কল্পনার সীমা ছাড়িয়ে ফেলছে।