নয়াদিল্লি: সীমান্তপারে সন্ত্রাসবাদীদের গতিবিধি সংক্রান্ত তথ্য আসার পর গোয়েন্দা সংস্থাগুলি জম্মু ও কাশ্মীরে সম্ভাব্য জঙ্গি হামলা নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে। সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী, এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, এ সংক্রান্ত তথ্য গোয়েন্দা সংস্থা ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলি শেয়ার করে এ বিষয়ে সতর্কতা জারি করে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলিকে অবাঞ্ছিত ঘটনার মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে বলেছে।
ওই আধিকারিক আরও বলেছেন, অগাস্টের তৃতীয় সপ্তাহে কন্ধহরে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ ও তালিবানের মধ্যে বৈঠকের খবর সামনে আসার পর সমস্ত গোয়েন্দা সংস্থাগুলিতে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, বৈঠকে হাজির ছিল দুটি গোষ্ঠীরই নেতারা। বৈঠকে 'ভারত-কেন্দ্রিক' অপারেশনের জন্য তালিবানের মদত চেয়েছে বলে রিপোর্টে জানা গেছে। সূত্র উল্লেখ করে সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, বৈঠকে পাকিস্তানের পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়।
সংবাদসংস্থার খবর অনুযায়ী ওই আধিকারিক জানিয়েছেন যে, আমরা সমস্ত গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে সোশাল মিডিয়ার ওপর নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ অগাস্ট আমরা পাকিস্তান থেকে দুই সন্ত্রাসবাদীর গতিবিধি সংক্রান্ত ইনপুট পেয়েছি, যারা শ্রীনগরে গ্রেনেড হামলার ছক কষছে। সমন্বয় সাধনের জন্য সমস্ত সংস্থাগুলিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। দেশের সমস্ত রাজ্যগুলিকে সন্ত্রাস-দমন বিভাগগুলিকে সতর্ক রাখা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত মহড়া চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ অগাস্ট কাবুল কব্জায় আসে তালিবানের। ফলে আফগানিস্তানের অসামরিক সরকারের পতন ঘটে। এরপর বহু দেশই আফগানিস্তান থেকে তাদের নাগরিক ও কূটনৈতিক কর্মীদের সরিয়ে আনার কাজ শুরু করে। কয়েকটি দেশ আশ্রয়প্রার্থী আফগান নাগরিকদের পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে।
উল্লেখ্য, তালিবানের কবল থেকে বাঁচতে হাজার হাজার আফগান নাগরিক বিমানবন্দরে ভিড় করেন। এরইমধ্যে গত বৃহস্পতিবার কাবুল বিমান বন্দরে এক আত্মঘাতী হামলা ও আইএসআইএস-কে বন্দুকধারী আততায়ীদের হামলায় ১৩ জন মার্কিন সামরিক কর্মী সহ কমপক্ষে ১৬৯ জন আফগান নাগরিকের মৃত্যু হয়। ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রভিন্স (আইএসকেপি) বৃহস্পতিবার এই নারকীয় হামলায় দায়স্বীকার করে।