নয়াদিল্লি: অসুস্থ হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা করাতে গেলেও, মোদি সরকারের বিরোধীদের পাল্টা আক্রমণ করতে পিছপা হলেন না অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। ফেসবুক পোস্টে তাঁর দাবি, ‘যারা বাধ্য হয়ে সরকারের বিরোধিতা করে চলেছে, তাদের মিথ্যা বলার ক্ষেত্রে কোনও সংশয় নেই। দেশের স্বার্থের বিরোধী হলেও, তারা তর্ক চালিয়ে যাবে। ওরা দুর্নীতিকেই ছদ্মবেশে ধর্মযুদ্ধ হিসেবে তুলে ধরবে। যখনই দরকার হবে, ওরা দ্বিচারিতা করবে।’


নাম না করে কংগ্রেসের সমালোচনা করে জেটলি লিখেছেন, ‘২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে অনেকেই আশা করেননি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসবেন নরেন্দ্র মোদি।  রাজনৈতিক ব্যবস্থায় অনেকেই ভেবেছিলেন, তাঁদের জন্মই হয়েছে শাসন করার জন্য। যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক না কেন, অনেকে প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন পদে বসেছেন। বাম ও অতি বাম মনোভাবাপন্নদের কাছে নতুন সরকারের গ্রহণযোগ্যতা নেই। ফলে একদল নতুন বিরোধী তৈরি হয়েছে। তাঁদের বিশ্বাস, সরকার কোনও ভাল কাজ করতে পারে না। তাই সব কাজেরই বিরোধিতা করতে হবে।’

উচ্চবর্ণের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ, আধার, বিচারপতি লোয়ার মৃত্যু মামলা, সিবিআই, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, বিচারবিভাগের সক্রিয়তা সহ বিভিন্ন বিষয়ের কথা উল্লেখ করে বিরোধীদের আক্রমণ করেছেন জেটলি। তাঁর মতে, বিরোধীরা সার্বভৌম নির্বাচিত সরকারকে দুর্বল করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। যারা নির্বাচিত হয়নি তাদের শক্তিবৃদ্ধি করলে গণতন্ত্র দুর্বল হয়। রাফাল যুদ্ধবিমান চুক্তি নিয়েও বিরোধীদের আক্রমণ করে অর্থমন্ত্রীর দাবি, দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা বাঁচিয়ে দেওয়ার কৃতিত্ব প্রাপ্য প্রধানমন্ত্রীর।