শ্রীনগর: করোনা ভাইরাস ঠেকাতে এবার নড়েচড়ে বসল জম্মু ও কাশ্মীর সরকার। সংক্রমণ ঠেকাতে ৩১ মার্চ পর্যন্ত জম্মু ও সাম্বা জেলার সব প্রাইমারি স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হল। একইসঙ্গে বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্সের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এই নির্দেশের কথা জানানো হয়েছে।


জম্মুর সরকারি মেডিক্যাল কলেজে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে দুই ব্যক্তির শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। ওই দুই ব্যক্তিকেই আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। তাঁরা সম্প্রতি ইরান ও দক্ষিণ কোরিয়া গিয়েছিলেন। তাঁরা আইসোলেশন ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকার অভিযোগ তুলে বুধবার রাতে হাসপাতাল থেকে পালান। তবে বৃহস্পতিবার তাঁদের আবার হাসপাতালে ফিরিয়ে আনা হয়।

জম্মু ও কাশ্মীরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত নোডাল অফিসার ডক্টর শাফকত খান জানিয়েছেন, ‘ওই দুই ব্যক্তির প্রচণ্ড জ্বর ছিল। তাঁদের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া যেতে পারে। তাঁদের সবরকম পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পাঠানো হয়েছে নয়াদিল্লির ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলে। সেই পরীক্ষার চূড়ান্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়। কারণ, সেক্ষেত্রে আতঙ্ক তৈরি হতে পারে। মানুষের কাছে সহযোগিতা করার আবেদন জানিয়েছে সরকার।’

অন্যদিকে, শ্রী মাতা বৈষ্ণোদেবী শ্রাইন বোর্ডের পক্ষ থেকেও পুণ্যার্থীদের সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে। বোর্ডের সিইও রমেশ কুমার জানিয়েছেন, ‘কাটরা শহরের বেস ক্যাম্প, যাত্রাপথ ও বৈষ্ণোদেবী মন্দির অঞ্চলে পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমে পুণ্যার্থীদের উদ্দেশে ঘোষণা করা হচ্ছে, কারও শরীরে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা গেলেই যেন অবিলম্বে মেডিক্যাল অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আমরা জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের চালু করা হেল্পলাইন নম্বরও দিচ্ছি। আমরা শ্রী মাতা বৈষ্ণোদেবী নারায়ণ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডের ব্যবস্থা করেছি।’

সম্প্রতি কাশ্মীরের পাঁচ ব্যক্তি করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে এমন দেশগুলিতে গিয়েছিলেন। তাঁদের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেওয়ায় শ্রীনগরের এসকেআইএমএস হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়। চারজনের পরীক্ষার রিপোর্টে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়নি। পঞ্চম ব্যক্তির শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও আসেনি।