লখনউ ও নয়াদিল্লি: রাফাল যুদ্ধবিমান চুক্তি সংক্রান্ত ফাইল চুরি যাওয়া নিয়ে মোদি সরকারকে একযোগে আক্রমণ করলেন সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব, বহুজন সমাজ পার্টি সুপ্রিমো মায়াবতী ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। সিপিএম-ও এই ইস্যুতে কেন্দ্রকে তোপ দেগেছে।


গতকাল উত্তরপ্রদেশের সন্ত কবীর নগরে বিজেপি-র বৈঠকে দুই জনপ্রতিনিধি মারপিটে জড়িয়ে পড়েন। একজন অন্যজনকে জুতো দিয়ে মারেন। এই ঘটনার কথা উল্লেখ করেও বিজেপি-কে আক্রমণ করেছেন অখিলেশ। তিনি বলেছেন, ‘প্রথমে সমান্তরাল আলোচনা চলছিল। তারপর রাফাল ফাইল চুরি গেল। এরই মধ্যে উত্তরপ্রদেশে উন্নয়ন নিয়ে বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তে মতানৈক্যের জেরে একে অপরের বিরুদ্ধে জুতো ব্যবহার করলেন সাংসদ-বিধায়ক। এখন বিজেপি কর্মীরা তাঁদের নেতাদের প্রশ্ন করছেন, কী প্রচার চলছে? যুবসমাজ ও বুথের জন্য কি ‘ঝুট’ ও ‘বুট’ ?’



মায়াবতী ট্যুইট করে বলেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে মোদি সরকারের চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি হল, রাফাল যুদ্ধবিমান চুক্তি সংক্রান্ত গোপন নথি প্রতিরক্ষামন্ত্রক থেকে চুরি হয়ে গিয়েছে। অত্যন্ত অদ্ভুত ও দায়িত্বজ্ঞানহীন চৌকিদারি। জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বার্থ কি নিরাপদ হাতে আছে? ভাল করে ভাবুন।’



মোদিকে আক্রমণ করে চিদম্বরমের ট্যুইট, ‘আমরা রাফাল চুক্তির নথি প্রকাশিত হওয়াকে সমর্থন করি। সরকারের যুক্তি হল, ‘চুরি হওয়া নথি’ প্রকাশিত হয়েছে। সংবিধানের ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে এই যুক্তি ধোপে টিকবে না। ১৯৭১ সালে পেন্টাগন পেপার্স মামলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছিল, সেটাই সংবাদমাধ্যমে তথাকথিত গোপন নথি প্রকাশ নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের আপত্তির জবাব।’



আজ সিপিএম-এর পক্ষ থেকেও ট্যুইট করে বলা হয়েছে, ‘একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রাফাল দুর্নীতির খবর স্পষ্টতই সরকারকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। সেই কারণেই সরকারি গোপনীয়তা আইন কাজে লাগিয়ে সংবাদমাধ্যমকে চুপ করাতে চাইছে সরকার। কিন্তু নথি চুরি যাওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়ে সরকার সেগুলির সত্যতা প্রমাণ করে দিয়েছে।’