নয়াদিল্লি: বিশ্ববাসী যখন করোনা মোকাবিলা নিয়ে ব্যস্ত, ঠিক তখই খবরে প্রকাশ পেল যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্রঙ্কস চিড়িয়াখানায় কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হয়েছে এক বাঘিনী। এই খবর প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসল ভারতের কর্তাব্যক্তিরা। বিশেষ করে যাঁরা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করেন।


উত্তরাখণ্ডের গাড়োয়ালে অবস্থিত ভারতের প্রাচীনতম জাতীয় উদ্যান ঐতিহ্যবাহী জিম করবেটে তড়িঘড়ি তৈরি করা হল পশুদের আইসোলেশন ওয়ার্ড। এখানকার ওয়ার্ডেন জানিয়েছেন, অন্তত ১০টি কোয়ারান্টিন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি, জন্তুদের খাঁচাগুলিকে যাতে কোয়ারান্টিন সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করা যায়, সেই নিয়েও আলোচনা চলছে। ওই আধিকারিক জানান, পশুদের ওপর বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে। কোনও জন্তুর মধ্যে উপসর্গ দেখা দিলেই তাকে কোয়ারান্টিনে রাখা হবে। উদ্যানের মধ্যে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরাগুলিও পশুদের সর্দি-কাশির উপসর্গের ওপর লক্ষ্য রাখছে।


তবে, জমি করবেটের বণ্যপ্রাণী মেডিক্যাল অফিসার দুষ্যন্ত জানান, পশু বিশেষকরে বাঘেদের জঙ্গলের মধ্যে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে, আক্রান্ত মানুষের কাছে গেলে পশুরাও আক্রান্ত হতে পারে। তাই মানুষের থেকে পশুর মধ্যে যাতে কোনওভাবে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য বাঘ ও হাতিদের পালনের দায়িত্বপ্রাপ্তদের করোনা পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় ব্যঘ্র সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি, উদ্যানগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যে কোনও পশু অসুস্থ হলেই যেন জাতীয় কর্তৃপক্ষকে তা জানানো হয়।


এসবের মধ্য়েই, উত্তরপ্রদেশর সম্বল জেলায় ২ দিনের ব্যবধানে ১৫ বাঁদরের মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে বাঁদরগুলির। যদিও চিকিৎসকদের প্রাথমিক অনুমান, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বাঁদরগুলি। তাঁদের দাবি, বাঁদরগুলি সম্ভবত কোনও বিষাক্ত জল খেয়ে ফেলেছিল। তাদের লিভার ও কিডনিতে সংক্রমণ হয়েছিল। অনুমান, কৃষকদের ব্যবহৃত কীটনাশক মেশানো জল খাওয়ার ফলেই এই ঘটন ঘটে থাকতে পারে।