জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার ও রাজ্যকে দুটি কেন্দ্রশাসিত এলাকায় ভেঙে দুটুকরো করার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর আজ টানা ৮৬দিন ধরে স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত রয়েছে কাশ্মীরে। বন্ধ রয়েছে দোকানপাট। সংঘর্ষের জেরে যানবাহন রাস্তাঘাট থেকে উধাও হয়ে যায়। গত ২ মাস ধরে যে দোকানীরা পসরা সাজিয়ে বসেছেন, আজ তাঁরাও দোকান খোলেননি। যদিও দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা হয়েছে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি মতোই। স্কুলের বাইরে উদ্বিগ্ন মুখে অপেক্ষা করতে দেখা যায় অভিভাবকদের। তাঁদের কারও কারও বক্তব্য, পরিস্থিতি মোটেই পরীক্ষায় বসার অনুকূল নয়। সরকারের আজকের পেপারের পরীক্ষা স্থগিত রাখা উচিত ছিল। শিশু পড়ুয়াদের নিরাপত্তাই সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাওয়া উচিত।
গত তিন মাস ধরে স্কুল খুলে পড়াশোনা চালু রাখার সরকারি চেষ্টা সফল হয়নি অভিভাবকরাই সন্তানদের নিরাপত্তার কথা ভেবে তাদের না পাঠানোয়। গোটা কাশ্মীরে ল্যান্ডলাইন, পোস্টপেড মোবাইল পরিষেবা ফের চালু হলেও ৫ আগস্ট থেকে বন্ধই আছে ইন্টারনেট পরিষেবা। ওমর আবদুল্লা, ফারুক আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতি সহ শীর্ষ মূল স্রোতের রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরাও গৃহবন্দি রয়েছেন।
দলটি শ্রীনগর রওনা হওয়ার আগে সাংবাদিকদের জানায়, বাস্তবে কাশ্মীরের মাটিতে কী ঘটছে, সেটাই দেখতে যাচ্ছি আমরা। দলের সদস্য ওয়েলসের নাথান গিলকে উদ্ধৃত করে এএনআই জানায়, বিদেশি প্রতিনিধি হিসাবে কাশ্মীরে যাওয়ার, সেখানে কী হচ্ছে, তা নিজেরা সরাসরি দেখার একটা দারুণ সুযোগ পেয়েছি আমরা। গতকাল দলটি নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের সঙ্গে দেখা করে কথাবার্তা বলে।