নয়াদিল্লি: সিঙ্গল ডোজ ভ্যাকসিনের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ওষুধ নির্মাতা সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসনের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। হায়দরাবাদের ইন্ডিয়ান বায়োফার্মাকিউটিক্যাল সংস্থা বায়োলজিক্যাল ই-তে তৈরি করা হতে পারে এই ভ্যাকসিন। এমনই জানিয়েছেন নীতি আয়োগের সদস্য ড. ভি কে পল।


কয়েকদিন আগেই ভারতে জরুরি ভিত্তিতে নিয়ন্ত্রিতভাবে ব্যবহারের জন্য মডার্নার তৈরি ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এই ভ্যাকসিন এদেশে আমদানি করবে সিপলা। এবার এদেশেই জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন তৈরির উদ্যোগ নিল কেন্দ্রীয় সরকার।


এ বিষয়ে ড. ভি কে পল জানিয়েছেন, ‘সিঙ্গল ডোজ ভ্যাকসিনের বিষয়ে আমরা জনসন অ্যান্ড জনসনের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছি। আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, হায়দরাবাদের বায়ো ই-তে এই ভ্যাকসিন তৈরি করা হবে।’


সম্প্রতি জনসন অ্যান্ড জনসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তাদের তৈরি ভ্যাকসিন করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ডেল্টা প্রতিরোধে সক্ষম। এছাড়া করোনার আরও যে ধরনগুলি রয়েছে, সেগুলিও ঠেকাতে পারবে এই ভ্যাকসিন। করোনার বিটা ভ্যারিয়্যান্ট প্রতিরোধে যতটা সক্ষম ছিল এই ভ্যাকসিন, ডেল্টা ঠেকাতে তার চেয়ে অনেক বেশি সক্ষম, এমনই দাবি জনসন অ্যান্ড জনসনের।


এ বিষয়ে জনসন অ্যান্ড জনসনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পল স্টফেলস জানিয়েছেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, আমাদের এই ভ্যাকসিন করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করতে সক্ষম এবং ডেল্টা ভ্যারিয়্যান্টকেও ধ্বংস করতে সক্ষম। আমাদের সিঙ্গল শট ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গিয়েছে, এই ভ্যাকসিন একইসঙ্গে করোনার বিভিন্ন ধরনের ভ্যারিয়্যান্ট প্রতিরোধ করতে পারে।’


জনসন অ্যান্ড জনসনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আরও জানিয়েছেন, ‘সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গল শট ভ্যাকসিন নেওয়ার পর আট মাস পর্যন্ত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকছে। এই ভ্যাকসিন নিলে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে না, বরং স্থায়ী হচ্ছে। ফলে এই ভ্যাকসিন যথেষ্ট উপকারী। সিঙ্গল শট ভ্যাকসিন নিলে প্রত্যেকেরই উপকার হবে।’