নয়াদিল্লি: ২০১৯ র লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যূত করার ব্যাপারে এদিনই আস্থাপ্রকাশ করেছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। যদিও এদিন রাজধানীতে বিরোধী দলগুলির বৈঠকে সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টি অনুপস্থিতি একটা উল্লেখযোগ্য বিষয় হয়ে থাকল। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের আগে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির নেতৃবৃন্দের বৈঠকে উত্তরপ্রদেশের দুই বড় দলের গরহাজিরাতে কংগ্রেসের বিজেপির বিরুদ্ধে জোট গঠনের পরিকল্পনা ধাক্কা খেল বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্রের দাবি, সম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচনের আগে অখিলেশ এবং মায়াবতীর সঙ্গে কংগ্রেসের যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছিল, তার জেরেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। যদিও, উত্তরপ্রদেশের বিজেপি বিরোধী এই দুই দলের প্রতিনিধিদের অনুপস্থিতির বিষয়টিকে বড় করে দেখতে নারাজ কংগ্রেস।
কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস সহ প্রায় এক ডজন দলের নেতৃবৃন্দ এদিনের বৈঠকে যোগ দিলেন। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা টিডিপি নেতা চন্দ্রবাবু নাইডুর উদ্যোগে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতৃবৃন্দকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।
সূত্রের খবর, বিজেপির মোকাবিলা বিজেপি-বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে জোট গঠনের ভবিষ্যত পথনির্দেশিকা তৈরিই এই বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল। বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ডিএমকে প্রধান এম কে স্ট্যালিন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। ছিলেন দুই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ, এইচডি দেবগৌড়া। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী, সনিয়া গাঁধী। এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লাও ছিলেন বৈঠকে। এছাড়াও আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআই নেতা সুধাকর রেড্ডি, ডি রাজা, লোকতান্ত্রিক জনতা দল নেতা শরদ যাদব এবং ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চার বাবুলাল মারান্ডি।
বিজেপি অবশ্য বিরোধীদের এই বৈঠককে গুরুত্ব দিতে নারাজ। কেন্দ্রের শাসক দল বলেছেন, এটা একসঙ্গে বসে ‘ছবি তোলার সুযোগ’ ছাড়া অন্যকিছু নয়। দলের মুখপাত্র সম্বিত পাত্রর অভিযোগ, ‘নিজেদের বাঁচাতে এটি দুর্নীতিগ্রস্তদের বৈঠক’।