নাড্ডা আরও বলেন, ‘ক্ষমতায় এলে কৃষকদের উন্নয়ন করা হবে। ৩ কৃষি আইনে কৃষকদের উন্নতি হবে। কৃষিতে রোজগারের ক্ষেত্রে দেশে ২৪ নম্বরে পশ্চিমবঙ্গ। বাংলায় জলের অভাব নেই, তবু সেচ হয় এমন জমি কম। ৪ কোটি ৬৭ লক্ষ রাজ্যের মানুষকে স্বাস্থ্যবিমা নিতে দেননি মমতা। আয়ুষ্মান প্রকল্পে এই সুবিধা দিয়েছিল মোদি সরকার।’
‘কোভিডের সময় কেন্দ্রের দেওয়া রেশন চুরি করেছেন তৃণমূল নেতারা। তৃণমূল মানে চাল চোর, ত্রিপল চোর। চোরেদের বাঁচাতে আদালতে চলে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সবসময় বলেন হবে না, হবে না। মে মাসের পর রাজ্যে সব কিছু হবে।’
তৃণমূলকে আক্রমণ করে নাড্ডা আরও বলেন, ‘মোদির দেওয়া প্রকল্পের নামও চুরি করেন মুখ্যমন্ত্রী। নাম বদলে দিয়ে মোদির গ্রহণযোগ্যতা কমানো যাবে না।’
এর আগে জঙ্গলমহলে গিয়ে আদিবাসী পরিবারের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ করেছেন অমিত শাহ। বাগুইআটি-তে মতুয়া পরিবারের বাড়িতে দুপুরের খাবার খেয়েছেন। এবার পূর্ব বর্ধমানে কৃষকের ঘরে খাবেন নাড্ডা। পূর্ব বর্ধমানে একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির। কর্মসূচির ফাঁকেই, কাটোয়ার জগদানন্দপুরে মথুরা মন্ডল নামে এক কৃষকের বাড়িতে দুপুরে খাবেন নাড্ডা। নিজে হাতে রান্না করবেন কৃষকের স্ত্রী।
বিজেপি সূত্রে খবর, মেনুতে থাকবে ভাত, লেবু, শাক, বেগুন ভাজা, আলুভাজা, পাঁচমিশালি তরকারি, সবজি দিয়ে ডাল, ফুলকপির তরকারি, চাটনি, পায়েস।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির কর্মসূচি উপলক্ষে পদ্ম-পতাকায় ছয়লাপ বর্ধমান শহর। রাস্তায় জেপি নাড্ডার বিশাল বিশাল কাটআউট। চতুর্দিকে ফ্লেক্স-ফেস্টুন। এদিকে, এরইমধ্যে কাটোয়া-জুড়ে ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের পতাকায়। আজ নাড্ডার কর্মসূচির আগে গতকাল এলাকা পরিদর্শন করে পুলিশ-প্রশাসন।
আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের দায়িত্ব। নাড্ডার ডায়মন্ড হারবার সফরের সময় যে ঘটনা ঘটেছিল, তার পুনরাবৃত্তি হলে বিজেপি বুঝে নেবে। মন্তব্য কৈলাস বিজয়বর্গীয়র।
দিল্লি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে আন্দোলন করছেন কৃষকরা। সেখানে যাওয়ার সময় পাননি। এখানে কৃষক সুরক্ষা অভিযানের নামে বেড়াতে এসেছেন। নড্ডার সফরকে কটাক্ষ করে মন্তব্য তৃণমূল নেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের।