আজ এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আজ আমরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সবার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পেরেছি, কিন্তু আমাদের মন সবসময় মা ভারতীর সঙ্গে সংযুক্ত।’
জরুরি ভিত্তিতে করোনা ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন প্রয়োগের ছাড়পত্র দিয়েছে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া। গোটা দেশে শুরু হয়ে গিয়েছে ভ্যাকসিন প্রয়োগের মহড়া। আজ এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ভারতে ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে। এর জন্য সবাইকে অভিনন্দন জানাই। দেশ কীভাবে আত্মনির্ভর ভারত হওয়ার দিকে এগিয়ে চলেছে, ভ্যাকসিন তৈরির ঘটনা সেটাই দেখিয়ে দিচ্ছে। এই দু’টি ভ্যাকসিনের মাধ্যমে শুধু দেশের মানুষেরই নয়, সারা বিশ্বের সেবা করতে তৈরি ভারত। আমরা কীভাবে বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করি, সেটা দেখার অপেক্ষায় সারা বিশ্ব।’
গত দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সমস্যা হল সন্ত্রাসবাদ। ভারতও সন্ত্রাসবাদের শিকার। এ বিষয়ে ভারতের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ভারত যখন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে, তখন সারা বিশ্ব এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করার সাহস পেয়েছে। আজ ভারত সন্ত্রাসবাদকে শেষ করার জন্য প্রযুক্তিকে কাজে লাগাচ্ছে। এখন সরাসরি অ্যাকাউন্টে লক্ষ কোটি টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’
মোদি আরও বলেছেন, ‘অনাবাসী ভারতীয়রা যে যে দেশে আছেন, সেখানে নিজেদের পরিচিত গড়ে তুলেছেন। তাঁদের ভূমিকা প্রশংসনীয়। ভারতের উন্নয়নের ক্ষেত্রেও তাঁদের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। ভারতে এখন গরিবদের উন্নয়নের জন্য যে প্রকল্প শুরু হয়েছে, সারা বিশ্বে এই প্রকল্প নিয়ে আলোচনা চলছে। করোনা অতিমারীর শুরুতে ভারত বিদেশ থেকে পিপিই কিট, মাস্ক, ভেন্টিলেটর, টেস্টিং কিট আমদানি করছিল। তবে এখন দেশ আত্মনির্ভর হয়েছে।’
অনাবাসী ভারতীয় ও ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সঙ্গে দেশের যোগাযোগ বাড়ানো এবং দেশের উন্নতিতে তাঁদের যোগদান নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই প্রবাসী ভারতীয় দিবসের আয়োজন করা হচ্ছে। এবারের অনুষ্ঠানে ‘আত্মনির্ভর ভারতে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের ভূমিকা’ এবং ‘করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, সমাজ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার মোকাবিলা’ নিয়ে আলোচনার কথা জানানো হয়েছে।