নয়াদিল্লি: মাসুদ আজহার যত বড় জঙ্গি নেতাই হোক না কেন, তাকে জেরা করা খুব সহজ কাজ ছিল। সেনা অফিসারের এক চড়েই কাবু হয়ে যেত সে। এমনই জানালেন সিকিম পুলিশের প্রাক্তন ডিরেক্টর জেনারেল অবিনাশ মহানানে। বেশ কয়েকবার আজহারকে জেরা করেছিলেন অবিনাশ। সেই অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘মাসুদ আজহারকে সামলানো সহজ ছিল। সেনা অফিসারের একটি চড়েই সে ভেঙে পড়ত। তার স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য জোর খাটাতে হত না। প্রথম চড়ের পরেই সে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলির বিষয়ে তথ্য দিত।’
পর্তুগালের পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে ঢোকে আজহার। ১৯৯৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৯৯ সালে বিমান ছিনতাই করে অপহৃত যাত্রীদের মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে আজহারকে ছাড়িয়ে নেয় জঙ্গিরা। এরপর জইশ-ই-মহম্মদ তৈরি করে আজহার। তার তৈরি এই জঙ্গিগোষ্ঠী সংসদ, পঠানকোটে বায়ুসেনার ঘাঁটি, জম্মু ও উরিতে সেনা ছাউনি এবং পুলওয়ামায় হামলা চালিয়েছে।
আজহারের বিষয়ে অবিনাশ জানিয়েছেন, ‘কোট বালওয়াল জেলে আমি বেশ কয়েকবার আজহারকে জেরা করেছিলাম। আমাদের ওর উপর জোর খাটাতে হত না। কারণ, ও সহজেই সব তথ্য দিত। ও জানিয়েছিল, হরকত-উল-মুজাহিদিন ও হরকত-উল-জেহাদ-ই-ইসলামি গোষ্ঠীকে একত্রিত করার লক্ষ্যেই সে জাল পর্তুগিজ পাসপোর্ট নিয়ে কাশ্মীরে গিয়েছিল। ওকে যে প্রশ্নই করা হত, তার জবাব দিত। তবে ও বলেছিল, আমরা ওকে বেশিদিন আটকে রাখতে পারব না। সে কথাই সত্যি হয়।’
সেনা অফিসারের এক চড়েই ঘায়েল হয়ে যেত মাসুদ আজহার, জানালেন জেরা করা পুলিশ আধিকারিক
Web Desk, ABP Ananda
Updated at:
18 Feb 2019 07:15 PM (IST)
NEXT
PREV
আজ ফোকাস-এ (aaj-focus-e) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -