পশু চিকিত্সকের প্রতি চরম নারকীয়, পাশবিক আচরণের জন্য ধৃত চার অভিযুক্তকে 'এনকাউন্টারে' নিকেশ করে আমজনতা থেকে শুরু করে নানা মহলের ভূয়সী প্রশংসা পাচ্ছে তেলঙ্গানা পুলিশ। ধর্ষণের পর খুন, আগুনে পোড়ানোর মতো গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অভিযোগের নিষ্পত্তির জন্য অপেক্ষার পরিবর্তে চটজলদি সাজা দেওয়াই সমাধান কিনা, সেই প্রশ্নও উঠছে।
এই প্রেক্ষাপটেই প্রধান বিচারপতি আজ বলেছেন, দেশে সাম্প্রতিক ঘটনাবলীতে পুরানো বিতর্কটা নতুন উদ্যমে মাথাচাড়া দিয়েছে। এনিয়ে কোনও সংশয়ই নেই যে, অপরাধ মামলার নিষ্পত্তিতে যে অনীহা, ঢিলেমি দেখা যায়, সময় লাগে, সে ব্যাপারে দেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার অবশ্যই নিজেদের অবস্থান, দৃষ্টিভঙ্গি পুনর্বিবেচনা করা উচিত। কিন্তু তা বলে আমার মনে হয় না, কখনই চটজলদি, তাতক্ষণিক ন্যয়বিচার মিলতে পারে বা সেটা হওয়া উচিত। কখনও প্রতিহিংসার পথে ন্যয়বিচার পাওয়া যায় না। বদলায় পর্যবসিত হলে ন্যয়বিচার তার চরিত্র হারিয়ে ফেলে।
তেলঙ্গানা পুলিশ মহিলা পশু চিকিত্সকের গণধর্ষণ, খুন, পুড়িয়ে দেওয়ায় চার অভিযুক্তকেই অপরাধের ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য চাট্টাপল্লির অপরাধস্থলে নিয়ে যায়। তাদের দাবি, কাকভোরে পুলিশকর্মীদের হাতের অস্ত্র কেড়ে গুলি চালিয়ে তারা পালানোর চেষ্টা করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি চালিয়ে চারজনকেই মেরে ফেলে।
ঘটনার কয়েক ঘন্টা পরই তেলঙ্গানা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে নিহত চার অভিযুক্তের দেহ ৯ ডিসেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত সংরক্ষিত রাখার নির্দেশ দেয়। বিচারপ্রক্রিয়ার বাইরে বেআইনি ভাবে চারজনকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে গতকালের এনকাউন্টারের ঘটনায় বিচারবিভাগের হস্তক্ষেপ চেয়ে প্রধান বিচারপতির অফিসে আবেদন জমা পড়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে হাইকোর্টের এহেন নির্দেশ।