কলকাতা:ফের করোনাভাইরাসের শিকার হলেন রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে এক প্রার্থী। আজ সকালেই প্রয়াত হলেন উত্তর ২৪ পরগনার খড়দা আসনের তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিনহা।  এর আগেই আরও দুই প্রার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এদিন কাজল সিনহা বেলেঘাটার আইডি হাসপাতালে প্রয়াত হয়েছেন। তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।


উত্তর ২৪ পরগনায় তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেছেন, এ সবের জন্য কমিশনই দায়ী। তাঁর অভিযোগ,করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কমিশন কিছু ব্যবস্থা করেনি।  বিজেপির লোকেরা মিটিং করছে, মিছিল করছে। আমরা এক লড়াকু কর্মীকে হারালাম। এই ক্ষতি অপূরণীয়।


এদিন মুর্শিদাবাদের সভায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, একজন লড়াকু কর্মীকে হারালাম। খড়দায় কাজল সিনহাই জিতবেন।


দফা কমিয়ে নির্বাচন করার দাবি না মানায় এদিনও কমিশনকে নিশানা করেছেন তৃণমূল নেত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘পরিকল্পনা করে ৮ দফায় ভোট করেছে। বারবার বলা হচ্ছে বাকি ভোট একদফায় করুন, তাও করছে না। 


খড়দার তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিন্হার মৃত্যুর পর নির্বাচন কিশনকে কটাক্ষ করে তৃণমূল নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনও ট্যুইট করেছেন। তৃণমূল সাংসদ লেখেন, বাংলায় এখনও ২ দফার ভোট বাকি। এখনও ৫ দিন পড়ে রয়েছে। ৩ জন প্রার্থীর মৃত্যু হয়েছে। লক্ষ লক্ষ ভোটার ও ভোটকর্মীরা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। ৭১টি আসন। মো-শাহের নির্দেশে দুই নির্বাচন কমিশনার একসঙ্গে ভোট করানোর প্রস্তাব লাগাতার উপেক্ষা করছেন।



বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল সূত্রে বলা হয়েছে, তৃণমূল প্রার্থীর কোমর্বিডিটি ছিল। আরও কয়েকদিন আগে এলে ভালো হত।  ভালো কিছু  রেজাল্ট হতে পারত। যখন এখানে ভর্তি হয়েছিলেন, তখন তাঁর শারীরিক অবস্থা বেশ গুরুতর ছিল।


তিন দিন ভেন্টিলেশনে থাকার পর এদিন সকালে মৃত্যু হল তাঁর। এর আগে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরের দুই প্রার্থীর করোনায় মৃত্যু হয়েছিল। ফলে ওই দুই আসনে ভোট স্থগিত রাখা হয়েছে।রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের ষষ্ঠ দফায় ২২ এপ্রিল খড়দা আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে।


গত ২১ এপ্রিল শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় কাজল সিনহাকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৩ এপ্রিল অবস্থার আরও অবনতি হয়। আজ সকাল সাড়ে নটা পঁয়তাল্লিশ নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।