নাগেরবাজার: গাঁধী জয়ন্তীর সকালেই নাগেরবাজারের কাজিপাড়া এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ। মারা গিয়েছে ৭ বছরের এক শিশু। বোমা ফাটানো হয়েছে স্থানীয় একটি বহুতলের একতলায় থাকা একটি ফলের দোকানের সামনে, চটের বস্তায় রাখা ছিল বিস্ফোরক। আহত হন বিভাস ঘোষ নামে ওই শিশু সহ ১০ জন। কিছুক্ষণ পর এসএসকেএমে বিভাসের মৃত্যু হয়।


ঘটনা হল, এই বহুতলেই দক্ষিণ দমদম পুরসভার অফিস। বিস্ফোরণের সময় অবশ্য অফিসে কেউ ছিলেন না। খবর পেয়ে ছুটে আসেন পুরসভার চেয়ারম্যান পাচু রায়। দাবি করেন, বিস্ফোরণের টার্গেট ছিলেন তিনিই।

বিস্ফোরণের জেরে আশপাশের বাড়ির দোতলা, তিনতলার জানালার কাচ ভেঙে চুরচুর হয়ে গিয়েছে, ভেঙে গলে গিয়েছে দোকানের ইস্পাতের শাটার। বহু দূর থেকে শোনা যায় বিস্ফোরণের শব্দ। পাচুবাবু জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে অসংখ্য জালকাঠি, বিস্ফোরণের তীব্রতা বাড়াতে ব্যবহার হয়েছিল। নাম না করে পাচুবাবু অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বিজেপি-আরএসএসের দিকে। তাঁর দাবি, দমদম এদের পুরনো ঘাঁটি, ষড়যন্ত্র করেই বেছে বেছে গাঁধী জয়ন্তীর দিন বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। গ্যাস সিলিন্ডার নয়, বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে,আর তা হয়েছে পরিকল্পনামাফিক। অন্যান্যদিন তিনি এ সময়টা অফিসে আসেন, দলীয় কর্মী, সাধারণ লোকজনের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। আজ ছুটির দিন বলে আসতে দেরি হচ্ছিল। হয়তো সেই সময় হিসেব করেই বোমা ফাটানো হয়েছে।

বিস্ফোরণে আহত যাঁরা হন, তাঁরা সকলেই ছিলেন পথচারী বা এসেছিলেন ওই ফলের দোকানে। আহত হয়েছেন দোকানিও। তাঁদের সকলকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম ও আরজি কর হাসপাতালে। এসএসকেএমে মারা যায় ৭ বছরের বালক বিভাস ঘোষ, ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

বিস্ফোরণের খবরে ঘটনাস্থলে আসেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার রাজেশ সিংহ সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। এসেছে সিআইডির বম্ব স্কোয়াড। কে বা কারা এভাবে বিস্ফোরণ ঘটাল এখনও জানা যায়নি।  জানা যায়নি, কী দিয়ে তৈরি হয় বিস্ফোরক।