মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান : দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়েছে। একলাফে ২১ শতাংশ বেড়েছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ। বাংলার পরিস্থিতিও যথেষ্ট উদ্বেগজনক। এই পরিস্থিতিতে নতুন বছরে পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর শহরে কল্পতরু মেলা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।



হু হু করে যেখানে সংক্রমণ বাড়ছে, সেখানে কীভাবে মেলার আয়োজন করা হল? উঠছে এই প্রশ্ন। পয়লা জানুয়ারি থেকে দুর্গাপুর স্টেশন রোডে শুরু হয়েছে মেলা। উদ্যোক্তাদের দাবি, তাঁরা যথেষ্ট সাবধানতা মেনেই মেলা করছেন। জনগণকে সচেতন করতে মাইকে চালানো হচ্ছে প্রচার।


দুর্গাপুর কল্পতরু উৎসব কমিটির তৃণমূল নেতা ও সদস্য নয়ন মালাকার জানান, ট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সচেতন করা হচ্ছে, মাস্ক ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না' । সচেতনতামূলক প্রচার চলছে বটে, কিন্তু ধরা পড়ল এমন ছবিও। মাস্ক ছাড়াই অবলীলায় ঘুরতে দেখা গেল অনেককে।  সেই মুখে একই অজুহাত , অনেকক্ষণ মাস্ক পরেছিলাম, তাই খুলেছি। 


আর এই প্রসঙ্গেই উৎসব কমিটি ও শাসক দলের ভূমিকা নিয়ে একযোগে তীব্র কটাক্ষ করেছে বাম ও বিজেপি। বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন , করোনার বাড়বাড়ন্ত সত্ত্বেও টাকা আয়ের জন্যই মেলার আয়োজন। 

আরও পড়ুন :


WB News Live Updates: সময়ে রদবদল, শেষ মেট্রো ছাড়ার সময় আধঘণ্টা এগিয়ে এল


বহু বছর ধরে দুর্গাপুরে চলে আসছে এই মেলা। কোভিড পরিস্থিতিতে যাকে কেন্দ্র শুরু হয়েছে বিতর্ক।


বঙ্গে গত সাত দিনে দৈনিক আক্রান্ত বাড়ল প্রায় সাড়ে ১০ গুণ! সোমবার যেখানে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৩৯! বাড়তে বাড়তে সেটাই রবিবার পৌঁছল ৬ হাজার ১৫৩-তে!  জুন মাসের প্রথম সপ্তাহের পর, ফের একবার রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ ৬ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে গেল!  কলকাতাতেও প্রায় ১৬ গুণ বেড়েছে করোনার সংক্রমণ! আর এদিনই উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ফুটবল টুর্নামেন্টকে ঘিরে দেখা গেল এই ছবি। বছরের প্রথম রবিবার, স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৬ হাজার ১৫৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। 



  • শনিবার এই সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৫১২

  • শুক্রবার ৩ হাজার ৪৫১ 

  • বৃহস্পতিবার ২ হাজার ১২৮

  •  বুধবারে রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৮৯।


স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৮ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ লক্ষ ৪৯ হাজার ১৫০ জন। মোট ১৯ হাজার ৭৮১ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে এ রাজ্যে।