লখনউ: আচমকা নয়, আটঘাট বেঁধে খুন করা হয়েছে হিন্দু সমাজ পার্টি প্রধান কমলেশ তিওয়ারিকে, তদন্তে জেনেছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ। প্রধান অভিযুক্ত আসফাক শেখ তার সহকর্মী রোহিত সোলাঙ্কির আধার কার্ডে নিজের ছবি বসিয়ে হিন্দু সমাজ পার্টির সদস্যপদ নেয়। ১৮ তারিখ লখনউয়ের নাকা হিন্দোলা এলাকায় নিজের বাড়িতে গলার নলি কেটে ও গুলি করে নৃশংভাবে খুন করা হয় কমলেশ তিওয়ারিকে।


প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, সুরাতের বাসিন্দা আসফাকই কমলেশ হত্যার মাস্টারমাইন্ড। আর এক অভিযুক্ত মইনুদ্দিনের সঙ্গে গা ঢাকা দিয়েছে সে। যে রোহিত সোলাঙ্কির আধার কার্ড সে জাল করে, তিনি পুলিশকে বলেছেন, আসফাকের কাজকর্ম সম্পর্কে কোনওদিন তাঁর মনে কোনও সন্দেহ হয়নি। একটি ওষুধ কোম্পানিতে তিনি মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে কাজ করতেন, আসফাক ছিল তাঁর সিনিয়র। কোম্পানিতে যোগদান প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে নিজের আধার কার্ড আসফাকের কাছে জমা দেন তিনি।

পুলিশ মনে করছে, আসফাক আধার কার্ডে সোলাঙ্কির ছবি সরিয়ে নিজের ছবি বসিয়ে দেয়। পাল্টে ফেলে জন্ম তারিখও। কিন্তু নাম, ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন নাম্বারের মত অন্যান্য সব খুঁটিনাটি রোহিতেরই থাকে। কিন্তু এত কিছু সে যে তলে তলে করে চলেছে তা নিয়ে রোহিতের মনে কখনও কোনও সন্দেহ হয়নি। তিনি জানিয়েছেন, আসফাকের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করবেন তিনি।

এরপর আসফাক হিন্দু সমাজ পার্টির গুজরাত ইউনিট প্রেসিডেন্ট জইমিন দাভেকে ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠায় রোহিত সোলাঙ্কির নামে। এভাবেই ধীরে ধীরে ওই পার্টিতে ঢুকে পড়ে সে। দাভে জানিয়েছেন, আসফাক যে আধার কার্ড তাঁকে দিয়েছিল তা রোহিতের নামে ছিল। উত্তর প্রদেশ পুলিশ আসফাক ও মইনুদ্দিনকে ধরিয়ে দিতে পারলে আড়াইলাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করেছে। পুলিশের এটিএস ও এসটিএফ দেখেছে, তারা ঘুরছে বেরিলি, মোরাদাবাদ ও সাহজাহানপুর এলাকায়।