নিউদিল্লি: কার্গিল যুদ্ধজয়ের ২২ বছর উদযাপনের প্রাক্কালে রবিবার চার দিনের জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ সফরে পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ। সূত্রের খবর, ভূস্বর্গে আবহাওয়া খারাপ থাকায় কার্গিলে না গিয়ে গুলমার্গে ওয়ারফেয়ার স্কুলে ১৯৯৯ সালের ভারত-পাক যুদ্ধে নিহত সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করবেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।  


সোমবার সকালেই টুইটারে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবার 'মন কি বাত'-অনুষ্ঠানে মোদি বলেছিলেন, কার্গিল যুদ্ধ দেশের সামরিক বাহিনীর বীরত্ব ও শৃঙ্খলার প্রতীক, যা গোটা বিশ্ব প্রত্যক্ষ করেছে। তিনি জানান, ভারত এই দিনটিকে অমৃত দিবস হিসেবে উদযাপন করবে। 



এদিন ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে কার্গিল যুদ্ধে নিহত সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী অজয় ভাট। এছাড়াও সেনা প্রধান এম এম নারাভানে, বায়ুসেনা প্রধান আরকেএস ভাদৌরিয়া, নৌ সেনা প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল জি অশোক কুমার কার্গিল বিজয় দিবস উপলক্ষে শ্রদ্ধা জানান। 



কার্গিল বিজয় দিবসে যুদ্ধে নিহত ভারতীয় সেনাদের প্রতি টুইটারে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন রাহুল গাঁধী।


প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে তৎকালীন কাশ্মীরের কার্গিল জেলায় ঢুকে পড়ে পাক সেনা। ২ মাস ধরেছিল চলেছিল ভারত-পাক যুদ্ধ। ভারতীয় সেনাদের মরণপণ লড়াইয়ের মুখে শেষপর্যন্ত ১৯৯৯ সালের ২৬ জুলাই পিছু হঠতে বাধ্য হয় পাক সেনা। প্রতিবছর এই দিনটিকে কার্গিল বিজয় দিবস হিসেবে পালন করা হয়। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে পাঁচশোরও বেশি ভারতীয় সেনা নিহত হন। ১৪-১৮ হাজার ফুট উচ্চতায় চলেছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর দেশরক্ষার লড়াই।



কার্গিলে এবং রাজধানী নয়াদিল্লিতে ২৬ জুলাই বিশেষ অনুষ্ঠান করে পালন করা হয় কার্গিল বিজয় দিবস। দেশের প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক বছর ২৬ জুলাই ইন্ডিয়া গেটের সামনে অমর জওয়ান জ্যোতিতে কার্গিল যুদ্ধের নায়কদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। কার্গিল বিজয় দিবসের ২২ বছর পূর্তিতে এবার দুদিনের একটি মোটর বাইক Rally-রও আয়োজন করা হয়েছে।