কলকাতা: তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথমবার দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সময়ের হিসেবে প্রায় দু'বছর পর রাজধানীতে পা রাখবেন তৃণমূল নেত্রী। পেগাসাস ইস্যু, কৃষি আইন বাতিলের মতো ইস্যু নিয়ে মোদী সরকারের উপর চাপ বৃদ্ধি করতেই এবার সামনের সারি থেকে লড়াইয়ের পরিকল্পনা তৃণমূলের। যদিও মমতা সফর নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।


ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই এই সফর। বিরোধীদের জোটবদ্ধ করার কাজ শুরু হয়ে যেতে পারে মমতার এই দিল্লি সফরের মাধ্যমে। সম্প্রতি, তৃণমূলের সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সনও মনোনীত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশের শহিদ দিবস থেকেও ভার্চুয়াল বার্তাতে সর্বভারতীয় স্তরেই লড়াই জোরদার করার কথা বলেছিলেন তৃণমূল নেত্রী।


মমতা বলেছিলেন, "আমি দিল্লি যাচ্ছি। আমি পওয়ারজি ও চিদম্বরমজিকে অনুরোধ করব সেই সময় একটা বৈঠকের আয়োজন করতে, যাতে আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে পারি।" তৃণমূল সূত্রে জানান হয়েছে, ২৭ জুলাই অর্থাৎ মঙ্গলবার সংসদভবনের সেন্ট্রাল হলে যেতে পারেন তৃণমূল নেত্রী। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও এই দিল্লি সফরে বুধবার বঙ্গভবনে দুপুর ৩টের সময় দলীয় সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করবেন নেত্রী। দেখা করতে পারেন বিরোধী দলগুলির সঙ্গেও। 



এদিকে, মমতার এই সফর ও বৈঠক নিয়ে কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, "২০১৯ সালেও বৈঠক করতে গিয়েছিলেন। ব্রিগেডে র‍্যালিও করেছিলেন। লোকসভার ফলাফল সকলেই দেখেছিল। ওঁর নিজের দলেই খুনোখুনি। ২৪-এর ভোটে লড়তে পারবেন কি না সন্দেহ। আর যেভাবে রাজ্যের ঋণের বোঝা বাড়ছে, সরকার চালানোর পরিস্থিতি নেই। তাই মোদির কাছে হাতজোড় করতে যাচ্ছেন।" 


সোমবারই বিকেল চারটের সময় সংসদভবনে দলীয় সাংসদদের নিয়ে বৈঠক করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।দিল্লি সফরে রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও দেখা করার কথা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।