আলিগড় ও বেঙ্গালুরু: দেশের দ্বিবার্ষিক এয়ার শো ও এভিয়েশন অর্থাত্ উড়ান সংক্রান্ত প্রদর্শনী ‘এয়ারো ইন্ডিয়া’ বেঙ্গালুরু থেকে লখনউয়ে সরিয়ে  নিয়ে যাওয়ার ভাবনাচিন্তা করছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক, এমন খবরের মধ্যেই এ নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থান জানতে চাইল ক্ষুব্ধ কর্নাটক।

‘এয়ারো ইন্ডিয়া’ শেষ বেঙ্গালুরুতে হয়েছে ২০১৭-র ফেব্রুয়ারি। শোনা যাচ্ছে, এবার লখনউয়ে অক্টোবর-নভেম্বরে হচ্ছে ওই প্রদর্শনী। যদিও প্রতিরক্ষামন্ত্রক সরকারি ভাবে ঘোষণা করে কথাটা বলেনি। সত্যিই ওই প্রদর্শনী লখনউয়ে সরে গেলে ১৯৯৬ –এ  শুরু হওয়ার পর থেকে এই প্রথম তা বেঙ্গালুরুর বাইরে হবে।

২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দিক থেকে অসীম গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যটিতে সবচেয়ে বড় ঘটনাগুলির অন্যতম হবে এটি।  পাশাপাশি যখন ওই প্রদর্শনী হবে, একই সময়ে বিধানসভা ভোট হবে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থানে।

তাঁর রাজ্যে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত উত্পাদন শিল্প চাঙ্গা হবে, তাই এয়ারো ইন্ডিয়ার প্রদর্শন স্থল  সেখানে সরিয়ে নিয়ে যেতে গতকাল আলিগড়ে এক অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে আর্জি জানান উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।  সেখানে ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পাশাপাশি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সুভাষ ভামরে, উত্তরপ্র্রদেশের শিল্পমন্ত্রী সতীশ মাহানা, মন্ত্রক ও উত্তরপ্রদেশ সরকারের শীর্ষ অফিসাররা। আদিত্যনাথ বলেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে এয়ারো ইন্ডিয়া শো উত্তরপ্রদেশে করানোর অনুরোধ করছি। আমরা সব ধরনের সুবিধার বন্দোবস্ত করব। যত দ্রুত সম্ভব তিনি আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করুন, যাতে আমরা প্রস্তুতির কাজকর্ম চালু করে দিতে পারি।

আলিগড়ের সেই অনুষ্ঠানেই আলিগড়, আগরা, কানপুর, লখনউ, ঝাঁসি ও চিত্রকূটকে নিয়ে প্রতিরক্ষা করিডরের ঘোষণা হয়।



ক্ষুব্ধ কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বর ট্যুইট করেছেন, এয়ারো ইন্ডিয়া বেঙ্গালুরু থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার খবর অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। স্বাধীনতার  পর থেকে ভারতের ডিফেন্স হাব অর্থাত্ মূল ঘাঁটি আমাদের রাজ্য, কিন্তু এনডিএ জমানায় লাগাতার বড় বড় প্রতিরক্ষা প্রজেক্ট ও ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচি আমাদের হাত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। নির্মলা সীতারামনকে এ ব্যাপারে অবস্থান স্পষ্ট করে জানাতে বলছি।