বেঙ্গালুরু: কর্ণাটক বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিল তিন দিনের পুরানো বিএস ইয়েদুরাপ্পা সরকার। সোমবার বিধানসভার অধিবেশনে ধ্বনি ভোটে আস্থা প্রস্তাব অনুমোদিত হল। আস্থা ভোট শেষ হওয়ার পরই অধ্যক্ষ পদে ইস্তফা দিলেন কে আর রমেশ কুমার। অধিবেশন শুরু হওয়ার এক ঘন্টার মধ্যেই সমগ্র প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়।
সদ্য প্রাক্তন শাসক জোটের ১৭ বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ হওয়ায় বিধানসভার আসন সংখ্যা কমে হয়েছিল ২০৮। ম্যাজিক ফিগার দাঁড়িয়েছিল ১০৫।এক্ষেত্রে বিজেপির প্রয়োজনীয় সংখ্যা থাকায় আস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটির রাস্তায় যায়নি কংগ্রেস ও জেডিএস। ইয়েদুরাপ্পার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার আস্থা প্রস্তাব বিধানসভায় গৃহীত হয়েছে বলে ঘোষণা করেন অধ্যক্ষ।
আস্থা ভোটের আগেই অধ্যক্ষ কংগ্রেসের ১১ এবং জেডিএসের তিন বিধায়কের সদস্যপদ ২০২৩-এ বর্তমান বিধানসভায় মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত খারিজ করেন। এর আগে তিন বিধায়কের বিরুদ্ধে একই ব্যবস্থা নিয়েছিলেন তিনি।
এরফলে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য ম্যাজিক সংখ্যা কমে হয়েছিল ১০৫। বিধানসভায় বর্তমানে বিজেপির ওই সংখ্যক বিধায়ক রয়েছেন। এরসঙ্গে রয়েছে এক নির্দল বিধায়কের সমর্থন।
মোট ১৭ বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ হওয়ায় বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের সমীকরণ বিজেপির পক্ষে চলে আসে।
গত তিন সপ্তাহ ধরে লাগাতার টানাপড়েন চলছিল কর্নাটক বিধানসভায়। জোটের ১৭ জন বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ায় আস্থাভোটে নিজেদের সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হয় কংগ্রেস ও জেডিএসের ১৪ মাসের জোট সরকার। এরপর, সরকার গড়ার জন্য রাজ্যপালের কাছে আবেদন করে বিজেপি। শুক্রবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা।
বিজেপি তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারে বলে জল্পনা ছিল। এই জল্পনার মধ্যেই এদিন আস্থাভোটের পরই ইস্তফা দিলেন অধ্যক্ষ। উপাধ্যক্ষ কৃষ্ণ রেড্ডির হাতে ইস্তফাপত্র তুলে দেন তিনি।
রমেশ কুমার বলেছেন, তিনি তাঁর বিবেকবোধ ও সংবিধান অনুসারে কাজ করেছেন। পদমর্যাদা বজায় রাখতে তিনি সর্বতোভাবে চেষ্টা করেছেন।
আস্থা ভোটে জিতে ইয়েদুরাপ্পা বলেছেন, প্রতিহিংসার রাজনীতিতে তিনি বিশ্বাসী নন। ভুলে যাওয়া ও ক্ষমা করার নীতিতেই তিনি বিশ্বাসী। তিনি আরও বলেন, রাজ্যবাসীর প্রত্যাশা অনুযায়ীই তিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন।