বেঙ্গালুরু: কর্ণাটকে এখনও অব্যাহত রাজনৈতিক নাটক। সোমবার কর্ণাটক বিধানসভায় আস্থাভোটের সম্মুখীন হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা। তার ঠিক ২৪-ঘণ্টা আগে, ১৪ জন বিদ্রোহী বিধায়ককে ‘ডিসকোয়ালিফাই’ করে তাঁদের সদস্যপদ খারিজ করলেন স্পিকার। যদিও, বিজেপি নেতার দাবি, সহজেই তিনি নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে সক্ষম হবেন।
শুক্রবারই আস্থা ভোটে কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারের পতন হয়। ১৪ মাস পর ফের কর্ণাটকে বিজেপি সরকার গঠন করে। চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন বি এস ইয়েদুরাপ্পা। সোমবার সকাল দশটায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে আস্থা ভোট হবে।
তবে তাঁকে বেগ দিতে মোট ১৭ জন বিদ্রোহী বিধায়ককে দলত্যাগ বিরোধী আইনে সদস্যপদ খারিজ করে দেন অধ্যক্ষ রমেশ কুমার। এরমধ্যে তিনজনের সদস্যপদ আগেই খারিজ করেছিলেন তিনি। রবিবার ১৪ জনের সদস্যপদ খারিজ করেন। যদিও, তা নিয়ে বিচলিত নন ইয়েদুরাপ্পা। বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের বিষয়ে আমি ১০০ শতাংশ নিশ্চিত।
প্রসঙ্গত, ২২৪-আসনের কর্ণাটক বিধানসভায় সোমবার আস্থাভোটে অংশ নিতে পারবেন ২০৭ জন। এর মধ্যে স্পিকারও রয়েছেন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য ম্যাজিক ফিগার ১০৪। এক নির্দল সহ বিজেপির মোট সংখ্যা ১০৬। কংগ্রেসের রয়েছে ৬৬। জেডিএস-এর ৩৪ এবং একজন বিএসপি সদস্য।
আস্থাভোট নিয়ে ইয়েদুরাপ্পা যে ভাবছেন না, তা স্পষ্ট হয়ে যায় এই বিজেপি নেতার কথায়। আস্থাভোটের পর তিনি কোন কাজ প্রথম করবেন, তাও এদিন জানিয়ে রাখেন ইয়েদুরাপ্পা। বলেন, প্রথমেই পূর্বতন কং-জেডিএস সরকারের আমলে পেশ হওয়া অর্থবিল পাশ করানো হবে। একইসঙ্গে জানিয়ে রাখেন, ওই বিলে কোনওপ্রকার পরিবর্তন করা হবে না।
এর আগে, শুক্রবার সকালে রাজ্যপাল বাজুভাই বালার সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনের দাবি করেন ইয়েদুরাপ্পা। এরপরই তাঁকে সরকার গঠনের আহ্বান জানান রাজ্যপাল। সন্ধেয় রাজভবনে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল।