বিজেপি-র বিরুদ্ধে দলীয় বিধায়কদের টোপ দেওয়ার অভিযোগ এনে তাঁদের বেঙ্গালুরুর শহরতলিতে একটি রিসর্টে রেখেছে কংগ্রেস। কিন্তু সেখানেই গতকাল বচসা থেকে দুই বিধায়কের মারামারি শুরু হয়ে যায় বলে সূত্রের খবর। গণেশের বিরুদ্ধে আনন্দের মাথায় বোতল দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ উঠেছে। কংগ্রেস অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কংগ্রেস মুখপাত্র মধু গৌড় যক্ষ্মী দাবি করেছেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। তাঁরা একই জেলার বিধায়ক। জেলা বিষয়ক ব্যক্তিগত কারণে তাঁদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। আমি যতক্ষণ রিসর্টে ছিলাম কোনও সমস্যা হয়নি। ওই দুই বিধায়ক একসঙ্গে নৈশভোজ সারেন। আমি চলে আসার পরেই গোলমাল হয়।’
কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বর বলেছেন, ‘আমি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর পেয়েছি। গতকাল রাত আটটা পর্যন্ত আমি ওখানে ছিলাম। কী হয়েছে আমি জানি না। তবে নিশ্চয়ই জানতে পারব। তারপরেই সে বিষয়ে সবাইকে জানাব।’
অপর এক কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার আনন্দকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তিনি দুই বিধায়কের মারামারির খবর অস্বীকার করে বলেছেন, ‘আমি মারপিটের কথা জানি না। বুকে ব্যথা হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আনন্দ সিংহ। তাঁর কোনও আঘাত লাগেনি। তাঁর বাবা-মা হাসপাতালে আছেন। এ বিষয়ে যে জল্পনা চলছে তা ঠিক নয়।’ শিবকুমারের ভাই কংগ্রেস সাংসদ ডি কে সুরেশের আবার দাবি, পেটে ব্যথা হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি আনন্দ।
বিজেপি বিধায়ক আর অশোক অবশ্য দাবি করেছেন, ‘ডি কে শিবকুমার ও তাঁর ভাই ডি কে সুরেশ মিথ্যা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। বুকে ব্যথা না অন্য কোনও কারণে আনন্দ সিংহ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, সে বিষয়ে চিকিৎসকদের বিবৃতি দেওয়া উচিত। পুলিশের স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে এই ঘটনার তদন্ত করা উচিত।’
কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বিজেপি-র ট্যুইট, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক যে কর্ণাটক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রিসর্টে মারামারি ঠেকাতে পারছেন না। আমাদের আশা আনন্দ সিংহের চিকিৎসা ভালভাবেই চলছে। তাঁর দ্রুত সুস্থতার জন্য আমরা প্রার্থনা করছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে দীনেশ গুন্ডু রাও এক্ষেত্রে বিজেপি-কে দোষারোপ করতে পারবেন না। বিধায়করা তাঁর চোখের সামনেই রিসর্টে ছিলেন। এখন তিনি কী অজুহাত দেবেন?’
পুলিশ সূত্রে খবর, কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে আনন্দ যে হাসপাতালে ভর্তি আছেন, সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই বিধায়কের সঙ্গে কাউকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। কংগ্রেস বিধায়ক রঘুনাথ জানিয়েছেন, তাঁকেও আনন্দের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি।