বেঙ্গালুরু : অনেক চেষ্টা করেও মেলেনি হাসপাতালে ভর্তির সুযোগ। সর্বত্রই ‘ঠাইঁ নেই, ঠাঁই নেই’ রব। শেষপর্যন্ত কর্ণাটকের বিধানসৌধের বাইরেই ধর্ণায় বসল এক করোনা আক্রান্তর পরিবার। দাবি একটাই, চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে বেডের বন্দোবস্ত করতে হবে। বৃহস্পতিবার এমই নাটকীয় ঘটনার সাক্ষী থাকল বেঙ্গালুরু। 
এর আগের দিনই মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পার সরকারি বাসভবন কাবেরির সামনে পৌঁছে গিয়েছিলেন এক করোনা আক্রান্তর পরিবারের লোকজন। হাসপাতালে একটা বেড যোগাড়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে ওই আক্রান্তর মৃত্যু হয়।  সিএমও আধিকারিকরা হাসপাতালে বেড ও অ্যাম্বুলেন্সের বন্দোবস্ত করেছিলেন। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ওই আক্রান্তকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ওই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনমুখী সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দেয় সিএমও। 
এরইমধ্যে হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরে বেড না পেয়ে এক মহিলা তাঁর মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে কোভিড আক্রান্ত স্বামীর সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সে করে পৌঁছে যান কর্ণাটকের বিধানসভা বিধানসৌধের সামনে। ওই মহিলা তাঁর করোনা আক্রান্ত স্বামীর জন্য হাসপাতালে বেডের বন্দোবস্ত করে দেওয়ার দাবি জানান। 
পুলিশ বাধা দিলে ওই মহিলা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বিধান সৌধের সামনে ধর্ণায় বসে পড়েন। পরে কর্ণাটকের কংগ্রেস বিধায়ক এনএ হ্যারিসের ছেলে মহম্মদ নালাপাড় ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধর্ণায় যোগ দেন। 
প্রায় আধ ঘণ্টা পর মুখ্যসচিব পি রবি কুমার ওই কোবিড আক্রান্তর জন্য সরকারি ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে বেডের বন্দোবস্ত করে দেন। কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত কর্ণাটক।  করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে হাসপাতালে বেড না পাওয়ার সংকট দেখা দিয়েছে। 
গত দুদিন ধরে রাজ্যে দৈনিক প্রায় ৫০ হাজার সংক্রমণের ঘটনা সামনে এসেছে। রাজধানী বেঙ্গালুরু কার্যত অভিকেন্দ্র হয়ে উঠেছে। 
উল্লেখ্য, শুধু কর্ণাটকই নয়, সারা দেশেই করোনার সংক্রমণ ঝড়ের গতিতে বাড়ছে। সেইসঙ্গে বাড়ছে হাসপাতালে বেড পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যাও।