বেঙ্গালুরু: গায়ে লাল রঙের পিপিই কিটের মতো পোশাক। সাইকেলে চাপিয়ে একটি দেহ নিয়ে হাঁটছেন দু’জন। প্রায় দু’কিলোমিটার পথ এভাবেই ৭১ বছরের বৃদ্ধের দেহ নিয়ে হাঁটলেন ছেলে ও ভাইপো! দেহ ফেলে এলেন কবরের পাশে। ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের বেলাগাভি জেলার মুগুত খান হুব্বালি গ্রামে। অভিযোগ, করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে মৃত্যু হওয়ায় দেহ সৎকারে রাজি হননি কেউ। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি প্রশাসন-পঞ্চায়েত।


পরিবার সূত্রে খবর, তিনদিন ধরে জ্বর থাকায় গ্রামের এক ক্লিনিকে দেখাতে যান পেশায় শ্রমিক ওই ব্যক্তি। চিকিৎসক তাঁকে কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই মারা যান ওই বৃদ্ধ। এরপরেই দেহ সৎকারের জন্য পঞ্চায়েতের সাহায্য চায় পরিবার। কিন্তু মুখ ফিরিয়ে নেয় গ্রাম পঞ্চায়েত। এগিয়ে আসেননি গ্রামের লোকজন বা বন্ধুবান্ধবরা। করোনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ধরে নিয়েই মুখ ফিরিয়ে নেন সকলে। শেষপর্যন্ত ওই বৃদ্ধের ও ছেলে ও ভাইপো মিলে কিট্টুরের গাঁধীনগর এলাকা থেকে সাইকেলে দেহ চাপিয়ে রওনা দেন। বেলাগাভি জেলার মুগুত খান হুববালি গ্রামের এক কবরস্থানে দেহ ফেলে আসেন তাঁরা।

গাঁধীনগর থেকে হুববালি গ্রাম পর্যন্ত ২ কিলোমিটার রাস্তা এভাবে যাওয়ার ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। বেলাগাভি জেলার দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী রমেশ ঝাড়কিহোলি বলেছেন, ‘করোনায় বা অন্য যে কোনও কারণেই কারও মৃত্যু হোক না কেন, তাঁর সৎকার মর্যাদার সঙ্গে হওয়া উচিত। বেলাগাভি জেলায় এ ধরনের ঘটনার যেন আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেদিকে আধিকারিকরা নজর দিন।’