নয়াদিল্লি: কর্নাটককাণ্ডের শুনানি আগামী মঙ্গলবার। ততদিন স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। এর মধ্যে ১০ বিদ্রোহী বিধায়কের ইস্তফা বা যোগ্যতা নির্ণয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না কর্নাটকের স্পিকার কে আর রমেশ কুমারকে। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
এদিন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি দীপক গুপ্ত ও বিচারপতি অনিরুদ্ধে বোসকে নিয়ে গঠিত তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু এই মামলায় উঠে এসেছে। তা আগামী ১৬ তারিখের শুনানিতে আলোচ্য হবে। যে কারণে ততদিন স্থিতাবস্থা বজায় থাকবে। বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, এই সময়ে বিদ্রোহী বিধায়কদের ইস্তফা ও অযোগ্যতা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না স্পিকার। যাতে শীর্ষ আদালতের ওই সকল গুরুত্বপূ্র্ণ ইস্যু নিয়ে বিচার করতে পারে। শুক্রবার, দুপক্ষের সওয়াল শোনার পর বিচারপতি-ত্রয়ী সিদ্ধান্ত নেন, এই মামলায় আরও শুনানির প্রয়োজন।
আগে, এদিন শুনানিতে স্পিকারের হয়ে সওয়াল করা আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি দাবি করেন, বিধায়কদের পদত্যাগ-ইস্যু গ্রহণের আগে শাসকদলের তরফে আবেদন করা অযোগ্যতা-মামলার দাবিকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত আদালতের। বিদ্রোহী বিধায়কদের হয়ে শীর্ষ আদালতে এদিন সওয়াল করা মুকুল রোহতগি পাল্টা দাবি করেন, স্পিকারের আর্জি অনৈতিক। তা মেনে নেওয়া যায় না। তাঁর দাবি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই ওই বিধায়কদের ইস্তফা গ্রহণ করছেন না স্পিকার। যাতে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে দল। রোহতগি মনে করিয়ে দেন, বিধানসভার দৈনন্দিন কাজ বিচারবিভাগীয় নজরদারির ঊর্ধ্বে। এসব ক্ষেত্রে স্পিকারের রক্ষাকবচ রয়েছে। কিন্তু, বিধায়কদের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা বা না করা সেই রক্ষাকবচের আওতায় নেই। রোহতগি জানিয়ে দেন, ইস্তফাপত্র গ্রহণ করার জন্য স্পিকারকে এক বা দুই দিন দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু, এরপরও যদি তিনি তা গ্রহণ না করেন, তাহলে, তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা যেতেই পারে।
এতে অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি দাবি করেন, স্পিকার যেহেতু সাংবিধানিক পদে রয়েছেন, তাই তিনি বিধায়কদের যোগ্যতা নির্ণয় করতেই পারেন। বেঞ্চ তখন মনু সিঙ্ঘভিকে প্রশ্ন করেন, আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানানোর ক্ষমতা আছে কি স্পিকারের? প্রসঙ্গত, স্পিকার তাঁদের ইস্তফা গ্রহণ করছেন না অভিযোগ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ১০ বিদ্রোহী বিধায়ক। এই প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার, সুপ্রিম কোর্ট স্পিকারকে নির্দেশ দেয়, অবিলম্বে ওই পদত্যাগ-পত্র নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে। একইসঙ্গে, তিনি রাজ্য পুলিশের ডিজিকে নির্দেশ দেন, বিদ্রোহী বিধায়কদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে। পাল্টা নির্দেশের সংশোধন চেয়ে সেদিনই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন স্পিকার।