মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, 'আগামী ১৪ এপ্রিল অবধি গরিবদের বিনামূল্যে দুধ বিতরণ করার কথা ঘোষণা করেছেন সরকার।' কর্ণাটকে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে দুধ উৎপাদিত হয়। এই দুধ কেবল কর্ণাটক নয়, চালান করা হয় বাইরের রাজ্যেও। এছাড়া বিভিন্ন হোটেল ও ব্যবসায় ব্যাবহার করা হয় প্রচুর দুধ। লকডাউনের ফলে এখন বন্ধ রয়েছে অধিকাংশ ব্যবসা। দুধ বেশীদিন সংরক্ষণ করলে নষ্ট হয় তার গুণাগুণও। এর ফলে রোজ বিপুল পরিমাণ দুধ নষ্ট হচ্ছে কর্ণাটকে। গরিবদের বিনামূল্যে দুধ বিতরণের সরকারের এই সিদ্ধান্তে রক্ষা পাবে দুই দিকই।
লকডাউনের জন্য দুধের উৎপাদন বন্ধ করা সম্ভব না। দুধ বিতরণের সঙ্গে যুক্ত কোম্পানিগুলিকে বাধ্য হয়েই রোজ কৃষকদের কাছ থেকে নিতে হচ্ছে কয়েক লাখ লিটার দুধ। লকডাউনের ফলে বন্ধ যানবাহনও। এর ফলে নিজেদের মতো দুধ বিক্রি করতে পারছেন না কৃষকরা। সব মিলিয়ে রোজ বিপুল পরিমাণ দুধ নষ্ট হচ্ছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তে আটকানো যাবে দুধ নষ্ট হওয়ার পরিমানও।
লকডাউনের মধ্যে যাতে কোনওভাবেই অতিপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহে বাধা না পড়ে সেইজন্য পুলিশকে কড়া নজরদারি করার নির্দেশ দিয়েছেন ইয়েদুরাপ্পা।