বিজেন্দ্র সিংহ ও উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, নয়াদিল্লি ও কলকাতা: বাংলার থেকে বেশি ভ্যাকসিন পেয়েছে গুজরাত, কর্ণাটক সহ ৫ রাজ্য। তৃণমূল সাংসদ মালা রায়ের প্রশ্নের জবাবে জানাল কেন্দ্র।কোন রাজ্যে কত ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে? জানতে চেয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ মালা রায়। পরিসংখ্যান তুলে ধরে উত্তর দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী। অন্যদিকে, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অনিয়মিত ভ্যাকসিন পাঠানোর অভিযোগ অস্বীকার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।
বিমাতৃসুলভ আচরণ, পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন না দেওয়া, অনিয়মিত ভ্যাকসিন পাঠানো,কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কোভিড-ভ্যাকসিনেশন নিয়ে এরকম নানা অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। দিল্লি সফরে গিয়ে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেও বাংলায় আরও ভ্যাকসিন পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই প্রেক্ষাপটেই উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।তৃণমূল সাংসদ মালা রায় সংসদে জানতে চেয়েছিলেন,১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত কোন রাজ্য-কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কত করোনার ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে কেন্দ্র?
এর উত্তরে শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পাওয়ার রাজ্যভিত্তিক কত ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে, সেই পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। কেন্দ্রের দেওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে, বাংলার থেকে বেশি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ৫টি রাজ্যকে। তার মধ্যে রয়েছে বিজেপি শাসিত ৩ রাজ্য....গুজরাত, কর্ণাটক ও উত্তরপ্রদেশ।
লিখিত উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক লিখিত উত্তরে জানিয়েছে, ‘জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ৩৫ কোটি ৪৩ লক্ষ ডোজ সরবরাহ করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গকে এখনও পর্যন্ত ২ কোটি ২৮ লক্ষ ৫৮ হাজার ৭৬০ টিকার ডোজ। এরমধ্যে ১ কোটি ৯৭ লক্ষ ৫৭ হাজার ৭১০ কোভিশিল্ডের ডোজ পাঠানো হয়েছে।
দিল্লি সফরেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বাংলাকে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ব্যাপারে শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, বিজেপি-অবিজেপি, ভারত সরকার করে না। রাজ্যে ভ্যাকসিনের প্রয়োগের রিপোর্টের উপর ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। আর স্বাস্থ্য রাজ্যের বিষয়। ত্রুটিমুক্ত করে ভ্যাকসিন সেন্টার, কোল্ডচেন বাড়ানো উচিত। ভারত সরকারও দিতে থাকবে, দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও ত্রুটি আছে বলে আমার জানা নেই।
কলকাতা থেকে জেলা সর্বত্রই ভ্যাকসিনের আকাল চলছে।তা নিয়ে, রাজনৈতিক তরজা চললেও, ভ্যাকসিন নিয়ে হাহাকার কবে বন্ধ হবে? এর উত্তর কিন্তু, এখনও অজানাই।