হায়দরাবাদ: প্রয়াত কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়পাল রেড্ডি। বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত কয়েকদিন ধরে হায়দরাবাদের হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন জয়পাল রেড্ডি। গতকাল রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। আগামীকাল শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। তাঁর প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি। শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রী সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও একাধিক দলের।
১৯৪২ সালে তেলঙ্গানায় জন্ম জয়পাল রেড্ডির। ১৯৮৪ সাল থেকে সাংসদ। লোকসভায় ৫ বার এবং রাজ্যসভায় দু’বারের সাংসদ তিনি। ইন্দ্রকুমার গুজরাল মন্ত্রিসভায় তিনি তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ছিলেন। ইউপিএ-২ জমানায় নগরোন্নয়নমন্ত্রী হয়েছিলেন। প্রাকৃতিক গ্যাস এবং পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকও সামলেছেন তিনি।
তাঁর প্রয়াণে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এক বার্তায় রাষ্ট্রপতি লিখেছেন, শ্রী জয়পাল রেড্ডির প্রয়াণের খবর শুনে শোকাহত। তিনি তুখোড় সাংসদ হওয়ার পাশাপাশি চিন্তাশীল ব্যক্তির রাজনীতিবিদ ছিলেন। তাঁর পরিবার ও ঘনিষ্ঠদের সমবেদনা জানাই।





প্রয়াত জয়পালকে চার দশকের বন্ধু বলে উল্লেখ করেন উপ-রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। তিনি বলেন, অন্ধ্র বিধানসভায় দুজন পাশাপাশি বসতাম। একজন সুবক্তা, ১৯৯৮ সালে বিশিষ্ট সাংসদের পুরস্কার পান তিনি। দলের শক্তিশালী মুখপাত্রও ছিলেন।



শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বলেন, জনজীবনে জয়পাল রেড্ডির প্রভূত অভিজ্ঞতা ছিল। একজন সুবক্তা ও সুপ্রশাসক হিসেবে তাঁর খ্যাতি ছিল। তাঁর প্রয়াণে শোকাহত।



শোকপ্রকাশ করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। বলেন, কংগ্রেস নেতা জয়পাল রেড্ডি ছিলেন জ্ঞান ও বুদ্ধির ভাণ্ডার। বন্ধুর অকালপ্রয়াণে আমি গভীর শোকস্তব্ধ। তাঁর পরিবারকে সমবেদনা।
মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন সাংসদ রাহুল গাঁধী-সহ অন্যান্য কংগ্রেস নেতারা। রাহুল গাঁধী বলেন, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রবীণ কং নেতা জয়পাল রেড্ডির প্রয়াণে আমি শোকাহত। তুখোড় সাংসদ, তেলঙ্গনার বীর সন্তান। জনপরিষেবায় তিনি গোটা জীবনটাই উৎসর্গ করেছেন। তাঁর পরিবার ও পরিজনদের আমার গভীর সমবেদনা।



প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম বলেন, যা তিনি লিখতেন বা বলতেন -- প্রতিটি শব্দের মধ্যে গভীর পাণ্ডিত্য ও আলাদা আবেগ ছিল। পুরনো বিশ্বের গুণমানের সঙ্গে তিনি সহজেই নতুন বিশ্বের প্রযুক্তিকে মেশাতে পারতেন।






মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অভিজ্ঞ সাংসদ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং সুবক্তা হিসেবে তাঁর সক্ষমতা সকলেই মনে রাখবেন। তাঁর পরিবারকে সমবেদনা। তেলঙ্গনা এবং অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যথাক্রমে কে চন্দ্রশেখর রাও ও জগন মোহন রেড্ডিও।



শোকপ্রকাশ করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল ও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।