গতকাল ভারতীয় সীমান্তের আটারি এলাকায় কর্তারপুর নিয়ে দুদেশের আলোচনা হয়েছে। তাতে ঠিক হয়েছে কর্তারপুর করিডোর দিয়ে রোজ ভিসা ছাড়া ৫০০০ যাত্রী কর্তারপুর সাহেব যেতে পারবেন। সারা বছর খোলা থাকবে কর্তারপুর করিডোর, তীর্থযাত্রীরা যেদিন কর্তারপুর সাহেব যাবেন, সেদিনই তাঁদের ফিরতে হবে। অনলাইন পোর্টালে আবেদন করতে হবে তাঁদের, যাত্রার ৪ দিন আগে মিলবে অনুমতি। ভারত জানিয়েছে, কর্তারপুর যাওয়ার জন্য টার্মিনাল ও ৪ লেনের সড়ক তৈরি করা হচ্ছে, ঠিক সময়ে শেষ হয়ে যাবে কাজ।
কিন্তু এই সব ইস্যুতে সহমত হলেও সমস্যা অন্য জায়গায়। কর্তারপুর সাহেব গুরুদ্বার যাওয়া তীর্থযাত্রী পিছু ২০ ডলার করে ফি চায় পাকিস্তান। তাদের বক্তব্য, কর্তারপুর করিডোরে তারা পরিকাঠামোগত বিপুল বিনিয়োগ করেছে অতএব তার সার্ভিস ফি দিতে হবে। গুরুদ্বারে ভারতীয় হাইকমিশনের কোনও আধিকারিকের উপস্থিতিও মানতে নারাজ তারা। যদিও ভারত জানিয়ে দিয়েছে, টাকা দেওয়ার প্রশ্নই নেই, পাকিস্তানকে বিষয়টিকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে আলোচনায় বসতে হবে।
এখন ভারত যদি পাকিস্তানের দাবি মেনে তীর্থযাত্রী পিছু ২০ মার্কিন ডলার দিতে রাজি হয়, তবে পাকিস্তান কর্তারপুর করিডোর থেকে প্রতিদিন রোজগার করবে ১ লাখ মার্কিন ডলার, পাকিস্তানি রুপিতে ১৬ কোটি টাকার মত।