হনুমানগড় (রাজস্থান): এবার কর্তারপুর করিডরকে ইস্যু করে রাজস্থানের নির্বাচনী জনসভায় কংগ্রেসকে আক্রমণ নরেন্দ্র মোদির। ৭ ডিসেম্বরের ভোটের প্রাক্কালে এখানে মঙ্গলবার তিনি ভাষণে দাবি করেন, কর্তারপুর পাকিস্তানে চলে গিয়েছিল তখনকার কংগ্রেস নেতাদের দূরদৃষ্টির অভাব, উদাসীনতার জন্য। শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গুরু নানক দেবের সমাধিস্থল পাকিস্তানের কর্তারপুরের গুরুদ্বার দরবার সাহিবের সঙ্গে ভারতের গুরদাসপুরের ডেরা বাবা নানক ধর্মস্থানকে জুড়ে দিতে গত সপ্তাহেই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত করিডরের। গত ৭০ বছরে এটা না হওয়ার জবাব কংগ্রেসকে দিতে হবে বলেও দাবি করেন মোদি। অভিযোগ করেন, কংগ্রেসের তত্কালীন নীতি নির্ধারণকারীরা তখন ক্ষমতায় বসার জন্য অধীর হয়ে উঠেছিলেন। তার মধ্যেই দেশভাগ হয়ে গেল। সেখানেও অনেকগুলি ভুল করা হয়েছিল, যার ফলশ্রুতিতে কর্তারপুর পাকিস্তানে ঢুকে যায়। একটু বিচক্ষণতা, গুরুত্ব সে সময় দেওয়া হলে ভারত থেকে মাত্র ৩ কিমি দূরে কর্তারপুর আমাদের হাতছাড়া হত না। কংগ্রেস নেতাদের গুরু নানক দেবের গুরুত্ব সম্পর্কে কোনও ধারণাই ছিল না, দুরদৃষ্টি, সংবেদনশীলতা ছিল না, শিখ ভাবাবেগকে বিন্দুমাত্র সম্মান দেখাননি তাঁরা, সেজন্যই আজ কর্তারপুর পাকিস্তানে। তিনি বলেন, কর্তারপুর করিডর হওয়ার কৃতিত্ব আপনাদের ভোটের। কংগ্রেসের ভুল শুধরানোই যেন আমার নিয়তি।
৫ বছর আগে কেলেঙ্কারি, দুর্নীতি খবরের শিরোনামে আসত বলে জানিয়ে মোদি বলেন, গত ৫ বছরে কি এ জাতীয় খবর আপনারা দেখছেন?
কৃষকদের ও তাদের সমস্যার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার চায়, চাষিরা শক্তিদাতা হয়ে উঠুন। চাষিদের সৌর প্যানেল বসানোর পাশাপাশি কৃষিবিষয়ক অন্যান্য আধুনিক কলাকৌশল ব্যবহারের পরামর্শ দেন তিনি। রাহুল গাঁধীকেও কটাক্ষ করে বলেন, নামদার লাল, সবুজ লঙ্কার ফারাকও বোঝেন না। ওকে যদি বলেন, সবুজ লঙ্কার তুলনায় লাল লঙ্কায় বেশি আয় হচ্ছে, উনি বলবেন, চাষিদের লাল লঙ্কা ফলানো উচিত। চাষিদের দুর্দশার জন্য কংগ্রেসই দায়ী বলে অভিযোগ করেন মোদি।