২০১৪ সালের ২ অক্টোবর খাগড়াগড়ের একটি বাড়িতে শক্তিশালী আইইডি বিস্ফোরণ হয়। ঘটনাস্থলেই দুই জেএমবি জঙ্গির মৃত্যু হয়। এক জঙ্গি জখম হয়। ২০১৪ সালে প্রথমে ধরা পড়ে জিয়াউল। পরের বছর গ্রেফতার হয় মতিউর ওরফে ভাষা। এরপর ২০১৬ সালে গ্রেফতার হয় ইউসুফ ওরফে বক্কর। গত বছরের অগাস্টে গ্রেফতার হয় জহিরুল। এই চার জঙ্গির বিরুদ্ধেই ইউএপিএ, ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারা এবং বিস্ফোরক সংক্রান্ত ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
প্রথমে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। পরে তদন্তভার নেয় এনআইএ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ভারতে জঙ্গি নিয়োগ, প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চালানো এবং ভারত ও বাংলাদেশে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করাই জেএমবি-র লক্ষ্য ছিল। তল্লাশিতে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণে আইইডি, বিস্ফোরক, হ্যান্ড গ্রেনেড ও জঙ্গি প্রশিক্ষণের ভিডিও।