নয়াদিল্লি: সিবিআই ডিরেক্টর অলক বর্মাকে কেন্দ্রের ছুটিতে পাঠানোর পদক্ষেপ ‘বেআইনি’ বলে দাবি করে সুপ্রিম কোর্টে গেলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। লোকসভার কংগ্রেস নেতার অভিমত, এক্ষেত্রে সিবিআই আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে।
সর্বোচ্চ আদালতে দায়ের করা পিটিশনে তিনি বলেছেন, সিবিআই আইন অনুসারে সংসদের বিরোধী নেতা, প্রধানমন্ত্রী ও দেশের প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত তিন সদস্যের কমিটিই একমাত্র পারে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার ডিরেক্টরকে নিয়োগ বা অপসারণ করতে। কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনের (সিভিসি) সিবিআই ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কোনও ক্ষমতাই নেই বলে দাবি করেন খাড়গে।
সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সিবিআই ডিরেক্টর অলক বর্মাকে ছুটিতে পাঠানোর একতরফা পদক্ষেপ আইনবিরুদ্ধ, সিবিআইয়ের পরিপন্থী। কংগ্রেস নেতৃত্বই খাড়গেকে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানোর নির্দেশ দিয়েছে বলে দলীয় সূত্রের খবর। ঘটনাচক্রে তিন সদস্যের ওই কমিটিতে সদস্য হিসাবে আছেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্টকে খাড়গে বলেছেন, সিবিআই ডিরেক্টরকে তাঁর যাবতীয় বিধিবদ্ধ ক্ষমতা, দায়দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়া সম্পূর্ণ বেআইনি, একপেশে পদক্ষেপ।


এ ব্যাপারে বিচারাধীন পিটিশনে একটি সংযোজনকারী আবেদনে তিনি বলেছেন, একজন সংশ্লিষ্ট ভাগীদার হিসাবে সিবিআই ডিরেক্টরের স্বাধীন কাজকর্মে রাজনৈতিক শাসককূলের হস্তক্ষেপের মতো ‘বেআইনি’, নির্বিচার পদক্ষেপে’র দিকে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন তিনি।
খাড়গে বলেছেন, কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনের ২৩ অক্টোবরের যে নির্দেশে সিবিআই ডিরেক্টর অলক বর্মার যাবতীয় ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়, তা সম্পূর্ণ বেআইনি, একতরফা, শাস্তিমূলক যার কোনও এক্তিয়ারই নেই। দিল্লি স্পেশাল পুলিশ এস্টাবলিশমেন্ট আইনে স্পষ্ট বলা আছে, সিবিআই অধিকর্তার পদ ও তার মেয়াদ সুরক্ষিত এবং ৩ সদস্যের কমিটির সম্মতি ছাড়া তাঁর বদলিও কার্যকর করা যায় না।