নয়াদিল্লি: এইমস-এ ভর্তি অটলবিহারী বাজপেয়ীর অবস্থা গভীর সঙ্কটজনক। তাঁকে লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে রাখা হয়েছে। দেশজুড়ে তাঁর দ্রুত আরোগ্য প্রার্থনা করে কোথাও যজ্ঞ, কোথাও বা পুজোপাঠ চলছে। ধর্মস্থানে সভা, প্রার্থনা করছেন অসংখ্য মানুষ। উদারপন্থী মূল্যবোধের জন্য রাজনীতির দুনিয়ায় সবার কাছে প্রিয় তিনি।
তাঁর সম্পর্কে এই তথ্যগুলি জেনে নিন।


১. মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে জন্ম অটলবিহারী বাজপেয়ীর।
২. তাঁর বাবা কৃষ্ণ বিহারী বাজপেয়ী ছিলেন কবি, স্কুলশিক্ষক। বাবার থেকে কাব্যরচনার সৃজনীশক্তি পেয়েছিলেন তিনি। বাজপেয়ীর কবিতায় মানবিক মূল্যবোধের সঙ্গে মিশেছিল জাতীয়তাবাদী চেতনা। কবি হিসাবে পরিচিতিও পেয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।
৩. বাজপেয়ী রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ ডিগ্রি পান উত্তরপ্রদেশের কানপুরের লক্ষ্মীবাঈ কলেজ থেকে।
৪. বাজপেয়ী রাজনীতিতে পা রাখেন স্বাধীনতা সংগ্রামের সময়, ভারত ছাড় আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন।
৫. ১৯৩৯ সালে আরএসএসে যোগ দেন সঙ্ঘের স্বয়মসেবক হিসাবে।
৬. সুবক্তা হিসাবে খ্যাতি পেয়েছেন তিনি। শোনা যায়, তাঁর বাগ্মিতায় প্রাক্তন ও দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে, তিনি বাজপেয়ী একদিন প্রধানমন্ত্রী হবেন বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন।
৭. শ্রোতাদের মনে নিজের বাকপটুতার জোরে এমন গভীর ছাপ ফেলতেন বাজপেয়ী, পাশাপাশি তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতাও এত মজবুত ছিল যে, তরতর করে সঙ্ঘের রাজনীতিতে তাঁর উত্থান হয়। তিনি হয়ে ওঠেন সঙ্ঘের মুখ।

৮. ১৯৬৮ সালে জনসঙ্ঘের প্রধান হিসাবে তিনি দায়িত্ব নেন দীনদয়াল উপাধ্যায়ের হাত থেকে।
৯. বাজপেয়ী ও তাঁর দল জয়প্রকাশ নারায়ণের আন্দোলনের প্রতি সমর্থন জানান। জরুরি অবস্থার সময় (১৯৭৫-১৯৭৭) গ্রেফতার হন তিনি।
১০. ১৯৯৬ সালে অল্প কয়েকদিনের জন্য প্রথমবার দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে বসেন বাজপেয়ী। পরে ১৯৯৮ এর ১৯ মার্চ , আবার ১৯৯৯ এর ১৩ অক্টোবর নতুন জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী হন তিনি।
১১. দীর্ঘ সংসদীয় জীবনে দশবার লোকসভা ও ২ বার রাজ্যসভায় নির্বাচিত হন বাজপেয়ী।

১২. ২০১৪ য় দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ভারতরত্ন দেওয়া হয় তাঁকে।